স্ট্র্যান্ড রোডে রেলভবনে বিধ্বংসী আগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ধনকড়। সেখানে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের জন্য পরোক্ষে রাজ্যকেই দায়ী করেন তিনি। সেইসঙ্গে রেলের পরিকাঠামোকে ক্লিনচিট দেন রাজ্যপাল। বলেন, রেল তার নিজের মতো কাজ করেছে। তবে দমকলের আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।। কেন দেরিতে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল।
এদিন তিনি বলেন, "দমকলকর্মীরা অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন, কিন্তু দমকলের কাছে যদি আরও আধুনিক প্রযুক্তি থাকত তাহলে এত বড় বিপর্যয় হত না। কলকাতার মতো মোট্র শহরে দমকলের পরিকাঠামো আরও উন্নত ও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন।" তিনি দাবি করেছেন, দমকলকর্মীদের সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল না। আর বিল্ডিংয়ের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে কেন দমকলকর্মীরা লিফট ব্যবহার করেছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ধনকড়।
প্রসঙ্গত, অগ্নিকাণ্ডে রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত বড় বিপর্যয়ের সময়েও রেলের কোনও আধিকারিককে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। রেলভবনের একটি ম্যাপ চেয়েও পায়নি দমকল, এমনটাই দাবি করেছেন মমতা। যদিও রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল পাল্টা দাবি করেছেন, রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন। রাজ্যপাল এদিন রেলের ভূমিকা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেননি। বরং বলেছেন, রেল তার মতো করে তদন্ত করছে। উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, এই দুর্ঘটনায় রেলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, ‘আগুন লাগার পর পরই ‘কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের নকশা দেওয়ার জন্য দমকল ও পুলিশের তরফে রেলকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা (রেল) সেসব দিতে পারেনি। এমনকী পুরোটাই রেলের অফিস হওয়া সত্ত্বেও রেলের কোনও আধিকারিক এখানে আসেননি।’ রেলের দফতরে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা কী অবস্থায় ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।