জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি ইজাজ আহমেদকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ। বোধগয়া বিস্ফোরণকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ জাশিদুল ইসলাম ওরফে কওসরকে পালানোর জন্য ছক কষছিল আহমেদ, একথাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, গত সোমবার গয়া থেকে ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের ইঙ্গিত? বিজেপি-র সাংগঠনিক নির্বাচনে গরহাজির শোভন-বৈশাখী
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সীমান্তে জেএমবিতে প্রায় ৫০ জনকে নিয়োগ করেছিল ইজাজ। জঙ্গি গোষ্ঠীতে সে যে জড়িত ছিল সে কথা যেমন কবুল করেছে ইজাজ, তেমনই জেরায় সে জানিয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে জেএমবি-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। এসটিএফের এর শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘ভারতে জঙ্গি দলের সংগঠন ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছিল ইজাজ’’। দক্ষিণের রাজ্যে কেরালা, কর্ণাটকে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের শ্রমিকদের টার্গেট করত ইজাজ। তার থেকে একটি ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ৬টি মোবাইল ফোন ও ভুয়ো ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ।
আরও পড়ুন: ফের রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ডের ছায়া, দাদার মৃতদেহ আগলে বসে বোন!
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি ইজাজ আহমেদ বীরভূমের পানরুই গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সাল থেকে জেএমবি জঙ্গি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। ‘আমির’ হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার। ভারতে জামাত জঙ্গিদের প্রধান নিয়োগকর্তা হিসেবে ইজাজ কাজ করত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সালাউদ্দিন সালেহাঁ, কওসরের মতো জেএমবি জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ ইজাজ।
Read the full story in English