ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার রাতে আন্দোলনকরীদের সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনা করেন পুলিশ কর্তারা। শেষমেশ আলোচনাতেই কাটে জট। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ নিয়ে ৩৮ দিনে পড়ল চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ। একটানা শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।
উল্লেখ্য, ২০১৬-এর পর ফের এক দফায় এসএসসি-র মাধ্যমে স্কুলে চাকরিতে নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এই পর্বে ৫ হাজার ২৬১টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছে। শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের জন্যও ১৬০০ পদ তৈরি করা হয়েছে। কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদরে জন্য ৮৫০ ও শারীর শিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ৭৫০টি পদ তৈরি করা হয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতেই ওই পদগুলিতে নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- অশনির প্রভাব জারি, আজও বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা
যদিও বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁদের সমস্যার কোনও সমাধান করা হয়নি। চাকরির দাবিতে একটানা ৩৭ দিন ধরে শহিদ মিনারের সামনে শারীর শিক্ষা ও কর্মশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শনিবার রাতে কলকাতা শহরে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে হেঁটে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মতো প্রস্তুতিও সাড়া হয়ে গিয়েছিল।
যদিও সেই খবর পুলিশের কানে যেতে রাতেই সেখানে ছুটে আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ আকাশ মাগারিয়া-সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্তারা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন চাকরিপ্রার্থীরা।