জোড়াবাগানে নাবালিকা খুনের ঘটনার কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার গ্রেফতার করা হল ওই আবাসনের কেয়ারটেকারকে। লাগাতার জেরায় কেয়ারটেকার নিজের দোষের কথা কবুল করেছে বলে দাবি পুলিশের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। খাবারের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে অভিযুক্ত কেয়ারটেকার নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। শুরু থেকেই নির্যাতিতার পরিবার বলে আসছিল, নাবালিকাকে ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মোবাইল ফোনে চাইল্ড পর্ণগ্রাফি দেখতে দেখতে মদ্যপান করছিল সে। তখনই শিশুটি তার চোখে পড়ে। খাবারের লোভ দেখিয়ে তাকে ছাদে নিয়ে যায় সে। এর পর সেখানে তাকে বিরিয়ারি ও চিপস খাওয়ায়। খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় মাদক। এতে শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে যৌন নির্যাতন করে সে। এরই মধ্যে নাবালিকার সংজ্ঞা ফিরে এলে বাধা দেয় সে। বাধা প্রতিহত করতে তার মুখে ঘুসি চালায় অভিযুক্ত। এর পর নাবালিকাকে সিঁড়িতে নিয়ে গিয়ে গলা টিপে খুন করে ওই যুবক। মৃত্যুর পর শিশুটির গলায় ছুরি চালায় অভিযুক্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার জোড়াবাগানের বৈষ্ণব শেঠ লেনের একটি বহুতলের সিঁড়ি থেকে মেলে এক নাবালিকার দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। শরীরে ছিল না পোশাক। চারটি দাঁতও ছিল ভাঙা। দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। রাতে ঘটনার তদন্তভার নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। একের পর এক সন্দেহভাজনকে জেরা করতে থাকে তারা। পরে আটক করে জেরা করা হয় সন্দেহভাজন কেয়ারটেকারকে। জেরায় মেলেঅসঙ্গতি। তারপরই গ্রেফতার করা হয় ওই আবাসনের কেয়ারটেকারকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন