সোমবার থেকেই মন্দির, মসজিদ খুলতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে, সরকারি নির্দেশের ব্যাখ্যা না মেলা পর্যন্ত কলকাতার সব মসজিদ আপাতত বন্ধ রাখার পক্ষেই ইমামদের সংগঠন। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও শনিবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ৮ জুন থেকে সব ধর্মীয়স্থান খোলা যেতে পারে।
এক বিবৃতিতে ইমামদের সংগঠনের তরফে চেয়ারপার্সন মহম্মদ ইয়া জানিয়েছেন, 'বিগত দু'মাস ধরে আমরা বাড়িতেই প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে আরও কয়েকদিন তা করব। সরকারি ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমাদের পক্ষ থেকে সকল ইমামদের কাছে আবেদন- মসজিদে জমায়েত এড়িয়ে চলাই ভালো। আরও কয়েকটা দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের আমরা আপনাদের অবগত করব।' ইমাম সংগঠনের এই আবেদনকে সমর্থ করেছে নাখোদা মসজিদ ও টিপু সুলতান মসজিদ কমিটি।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, ১ জুন সকাল ১০ টা থেকেই রাজ্যের সমস্ত মন্দির-মসজিদ-গির্জা খোলা হবে। তবে কোনও ধর্মস্থানেই একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও পরিষ্কার করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- পঞ্চম দফার লকডাউন: কী খুলছে, কী খুলছে না?
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইমাম সংগঠনের চেয়ারপার্সন মহম্মদ ইয়া। যদিও তাঁর প্রশ্ন, 'গোটা লকডাউনজুড়ে পাঁচ জনের বেশি মানুষকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি রমজান মাসেও সেই নিয়ম বজায় ছিল। কিন্তু, রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকেই বহু ফোন আসছে। সোমবার থেকে একসঙ্গে অনেকে চলে এলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে কীভাবে?' তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ব্যাখ্যা ছাড়া আপাতত মসজিদ বন্ধ রাখাই শ্রেয় বলে মনে করে ইমামদের সংগঠনটি। এতে অসুবিধা হবে না বলেও মত মহম্মদ ইয়ার।
জানা গিয়েছে, সরকারি নির্দেশ থাকলেও তারাপীঠ মন্দির ও দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির আরও ১৫ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেবায়েত কমিটি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন