উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই মমতার পাড়া ভবানীপুর ঢাকল তাঁর পোস্টার-ব্যানার-দেওয়াল লিখনে। শনিবার নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। তার পরই খুশির হাওয়া তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। এদিন দুপুর থেকেই ভবানীপুর এলাকায় তৃণমূল নেত্রীর ফ্লেক্স, ব্যানার ও পোস্টারে এলাকা ঢেকে দিলেন তৃণমূল কর্মীরা।
এদিন তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয় হিন্দ বাহিনীর সদস্য-সমর্থকরা ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোস্টার-ফ্লেক্স টাঙিয়ে দেন। জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি আবার মমতার নিজের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর অসীম বসুও দেওয়াল লিখনে হাত লাগান। দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয়, 'ভবানীপুরে খেলা হবে', 'ভবানীপুর দিদিকেই চায়'।
এদিকে, তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবারই মনোনয়ন জমা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কমিশনের তরফে বলা হয়েছে যে কড়া কোভিডবিধি মেনেই এই ভোট হবে। মনোনয়নের সময় কোনও মিছিল হবে না। ভোট প্রচারেও কড়া নিয়ন্ত্রণ থাকবে। বাড়ি বাড়ি প্রচারে মাত্র ৫ জন যেতে পারবেন। স্ট্রিট কর্নার মিটিং করা যাবে মাত্র ৫০ জনকে নিয়ে। এছাড়া ভোটের ৭২ ঘন্টা আগে প্রচারকাজ শেষ করতে হবে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৬ সেপ্টেম্বর।
আরও পড়ুন কমতে কমতে ৭১, পদ্ম ছেড়ে জোড়া-ফুলে আরও এক বিজেপি বিধায়ক
মনোনয়ন জমার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর ও স্ক্রুটিনির শেষ দিন ১৪ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীপদ প্রত্যাহের শেষ দিন ১৬ তারিখ। কমিশনের নির্দেশ, ইন্ডোর প্রচারে ২০০-র বেশি জমায়েত করা যাবে না। এছাড়া ভোট কর্মীদের টিকার ২টি ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৫ অক্টোবরের মধ্যে।
সবার নজরে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কারণ এই কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, নন্দীগ্রামে মমতার পরাজয় হলে তাঁকে বিধায়ক করার জন্য ওই কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেন শোভনবাবু। খড়দহ থেকে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন রাজ্যেরই এই মন্ত্রী।
এখন দেখার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি কাকে প্রার্থী করে? আগে শোভনদেববাবুর বিরুদ্ধে ভবানীপুর থেকে পদ্ম শিবির প্রার্থী করেছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। পাশাপাশি লক্ষ্যণীয় যে, ভবানীপুরে বাম-কংগ্রেস সহ সংযুক্ত মোর্চার জোট বজায় থাকার বিষয়টিও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন