Advertisment

কলকাতার শিক্ষক ‘জঙ্গি’! বিভিন্ন দফতরে উড়োচিঠি

স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ ‘জঙ্গি’, যাঁদের সঙ্গে আবার বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করে খিদিরপুর অ্যাকাডেমির মতো নামী স্কুলের নামে চিঠি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
কলকাতার শিক্ষক ‘জঙ্গি’! বিভিন্ন দফতরে উড়োচিঠি

কলকাতার স্কুলে চিঠি আতঙ্ক। প্রতীকী ছবি।

চিঠি ঘিরে রীতিমতো থরহরিকম্প খাস কলকাতার বুকে সরকারি স্কুল। স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ ‘জঙ্গি’, যাঁদের সঙ্গে আবার বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে খিদিরপুর অ্যাকাডেমির মতো নামী স্কুলে চিঠি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে শহর কলকাতায়। যার জেরে কার্যত লাটে উঠেছে পঠনপাঠন। ২৮টি সরকারি দফতরে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। ‘উড়োচিঠি’ বলে দাবি করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীরূপ গোপাল গোস্বামী। এ ঘটনায় ওয়াটগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন: স্ত্রীর খণ্ডিত দেহ শিয়ালদা স্টেশনে, পাঁচ বছর পর ফাঁসির সাজা স্বামীর

Khidderpore Academy, খিদিরপুর অ্যাকাডেমি চিঠির কিছু অংশ।

ঠিক কী অভিযোগ?

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এমন চিঠি এই প্রথম নয়। এর আগেও এই ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কখনও স্কুলের দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে, তো কখনও কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা ঠিকভাবে ক্লাস করাচ্ছেন না, এমন অভিযোগও করা হয়েছে। ২০১১ সালের পর থেকেই এমন চিঠি আসা শুরু হয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর, এমন চিঠির জেরে তদন্তের মুখেও পড়তে হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। কিন্তু তদন্তের পর দেখা গিয়েছে, সবটাই ভুয়ো। উল্লেখ্য, আগে ইংরেজিতে লেখা চিঠি পাঠানো হত, এখন তা বাংলায় পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বর্ধমান স্টেশনের নাম পরিবর্তন নিয়ে রাজ্যের পরামর্শ নেওয়া হয়নি: মমতা

চিঠিতে বলা হয়েছে, স্কুলের এক শিক্ষকের সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। হুগলি ও বন্দর এলাকা থেকে ১৮-২৫ বছর বয়সী যুবকদের বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে জামাতের কার্যালয়ে গোপন ডেরায় থাকার ব্যবস্থা করেন ওই শিক্ষক। ঢাকায় ওই শিক্ষকের প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে।

এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে প্রধান শিক্ষক শ্রীরূপ গোপাল গোস্বামী বলেন, "স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকার নামে একাধিক চিঠি আসছে। একজনকে বলা হয়েছে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত, আরেকজনকে বলা হয়েছে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। খুব স্বাভাবিক ভাবেইএসব চিঠি ঘিরে আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।"

প্রসঙ্গত, যে ২৮টি দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং সিআইডি। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান এবং রাজ্যের মুখ্য সচিবকেও পাঠানো হয়েছে এ চিঠি।

kolkata metro
Advertisment