ছোট লালবাড়িতে প্রশাসক না ফিরহাদ, জল্পনা তুঙ্গে

মেয়াদ শেষের পর কলকাতা পুরসভা কীভাবে চালাবে রাজ্য সরকার, সোমবার দিনভর তা নিয়ে চর্চা চলেছে রাজনৈতিক মহলে।

মেয়াদ শেষের পর কলকাতা পুরসভা কীভাবে চালাবে রাজ্য সরকার, সোমবার দিনভর তা নিয়ে চর্চা চলেছে রাজনৈতিক মহলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মেয়াদ শেষ হচ্ছে কলকাতা পুরবোর্ডের। এমতাবস্থায় ৭ মে-র পর ছোট লালবাড়ির (কলকাতা পুরসভা) দায়িত্ব কার উপর থাকছে তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। যদিও এদিন পুরভবনে মেয়র জানিয়েছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এদিকে ৭ মে কলকাতা পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য ভোটও পিছিয়ে গিয়েছে। তাই মেয়াদ শেষের পর কলকাতা পুরসভা কীভাবে চালাবে রাজ্য সরকার, সোমবার দিনভর তা নিয়ে চর্চা চলেছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisment

এমনিতে কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে প্রশাসক নিয়োগের নিয়ম নেই। তবে সাধারণত অন্য পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হলে প্রশাসক নিয়োগ করেই পুরসভা পরিচালনা করা হয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। এই রীতি অনুসরণ করা হলে এক্ষেত্রে পুর কমিশনার খলিল আহমেদেরই দায়িত্ব পাওয়ার কথা। কেউ কেউ বলছেন, একাধিক প্রশাসকও নিয়োগ করা যেতে পারে কলকাতা পুরসভার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার পুরসভার দায়িত্ব নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে। অন্য একটি সূত্রের মতে, করোনা মহামারির সময় ফের ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে অর্ডিন্যান্স জারি করে বোর্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করবে নাকি নতুন কোনও পদে দায়িত্ব পাবেন ফিরহাদ, তা নিয়ে জল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে।

এদিকে এদিন পুরভবনে এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এটা নিয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। যে সরকারি নির্দেশ আসবে সেই নির্দেশই আমরা পালন করব। এখনও সরকারি নির্দেশ হয়নি, ফলে কী করে বলব। শুনলাম, এজির কাছ থেকে চিফ সেক্রেটারির কাছে গিয়েছে।" আপনাকে যদি দায়িত্বে দেয়? এই প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, "আমি তো নিজেকে নিজে রেকমেন্ড করতে পারি না।" এরপর ফের তাঁর দায়িত্ব প্রাপ্তির সম্ভবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফিরহাদারে স্পষ্ট জবাব, "আমি জানি না।"

Advertisment

কলকাতা পুরসভার প্রশাসক নিয়োগের প্রশ্নে প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, "আইনে প্রশাসক নিয়োগ করার কোনও বিধান নেই। এরকম পরিস্থিতিতে সরকার দায়িত্ব নিয়ে পুরসভা চালাতে পারে। সরকারের তো মন্ত্রীই তিনি। তাঁকে আবার সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করবে কী করে। মন্ত্রী নিজেকে নিয়োগ করবে এ ধরনের অবাস্তব জিনিস হয় নাকি। যদি যুক্তিসম্মত কাজ করে, তাহলে আমার তো মনে হয় সরকার বলতে পারে কমিশনার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে। যদি অন্যরকম কিছু মনোভাব থাকে তাহলে আলাদা কথা। ফের মামলা হবে।" এদিকে আইনজীবী অরুনাভ ঘোষ বলেন, "দুটো পথ সরকার বেছে নিতে পারে। এক প্রশাসক বসানো। আর একটা নতুন আইন পাশ করে বলবে এই বোর্ড ৬ মাস এগিয়ে দেওয়া হল। বিধানসভায় আইন পাশ করতে পারে। বা এখন অর্ডিন্যান্স করে পরে বিধানসভায় পাশ করে নেবে।

পুরসভার অন্দরে আলোচনা চলছে, করোনা পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলররা জনসংযোগ রেখে কাজ করছেন। প্রশাসক নিয়োগ করলে সেক্ষেত্রে একেবারে স্থানীয় পর্যায়ে যোগাযোগ রেখে চলায় সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনওভাবে ফিরহাদ হাকিম দায়িত্বে থাকলে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সহজ হবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Kolkata Municipal Corporation