আমফানের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইয়াসের আগে কোমর বেঁধে নামছে কলকাতা পুরসভা। তদারকির নেতৃত্বে গৃহবন্দি পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ভার্চূয়াল বৈঠক করে প্রশাসক বোর্ডের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পুর আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশের পরেই প্রস্তুতি তুঙ্গে ছোট লালবাড়ির অন্দরে।
আমফানের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলার পরিকাঠামো তৈরিতে। সোমবার থেকে প্রতিটি বরোতে বৈঠক করে কন্ট্রোল রুম গঠন হবে। বৈঠকে থাকবেন বরোগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যরা।
কাশীপুর বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষের দায়িত্বে ১ ও ৩ নম্বর বরো। তিনি বলেছেন, ‘ঝড় আসার ২৪ ঘণ্টা আগে কন্ট্রোল রুম চালু হবে। তাই বৈঠক করে ঝড়ের আগেই বরোগুলিতে কীরকম প্রস্তুতি রয়েছে, তা দেখে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।‘
জানা গিয়েছে, ঝড়ের পরে যাতে দ্রুত শহরের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা যায় সেই বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ। রাস্তায় আটকে পড়ে থাকা গাছ সরানো নিশ্চিত করতে বলেছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই রাস্তার খন্দ বুজিয়ে ফেলতে হবে। তবে সব কাজই হবে কোভিড বিধি মেনে। এমনটাই কেএমসি সূত্রে খবর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমলেই যাতে সাফাইকর্মীরা রাস্তায় নামতে পারেন, সেই প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ল্যাডার, ডাম্পার নিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য বরো অফিসগুলিতেই সব কিছু মজুত করা হয়েছে।
এদিকে, কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোল রুমে সিইএসসির আধিকারিকরা থাকবেন। কোনও বাতিস্তম্ভ বা ফিডার বক্স থেকে যাতে তার বেরিয়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করবে সিইএসসি। সিইএসসি প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে নিজেদের টিম রাখবে। এক একটি বরোতে সমন্বয় আধিকারিক থাকবেন। সিইএসসি ও কলকাতা পুরসভা যৌথ ভাবে পরিদর্শন করবে বলেও জানানো হয়েছে। শহরের পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বৈদ্যুতিক পরিষেবা যাতে ঠিক থাকে, তা নিয়ে এদিন সিইএসসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।