ওমিক্রনের চোখ রাঙানির মধ্যেই রাজ্যজুড়ে ফের সংক্রমণের দাপট শুরু হয়েছে। কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ভয় ধরাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ কার্যকর না করে তিলোত্তমায় কনটেনমেন্ট জোন করে সংক্রমণ রোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু, কী বিধি মেনে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হবে? মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ মেয়র পারিষদদের উপস্থিতে বর্ষশেষের বিকেলে তা নিয়েই বৈঠক হয় কলকাতা পুরসভার দফতরে। সেখানেই ঠিক হয়েছে কী প্রক্রিয়ায় এবার শহরে কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যদি কোনও এলাকায় পাঁচ জন করোনা পজিটিভ রোগী থাকেন, তবে সেই এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হবে। উদাহরণ হিসাবে মেয়র বলেন, 'কলকাতার কোনও আবাসনের কোনও ফ্ল্যাটে যদি করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলে, তবে পুরনিগমের পক্ষ থেকে গোটা আবাসন জীবাণুমুক্ত করা হবে। লিফটের কাছাকাছি স্যানিটাইজেশনের বন্দোবস্ত রাখতে হবে।' ইতিমধ্যে ১৭টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ভাবনার কথা পুরসভার তরফে নবান্নকে জানানো হয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে বন্ধ থাকবে ক্লাব, সুইমিং পুল ও জিম।
কলকাতায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের হার। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শহরের আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯৫৪ জন। কলকাতায় সংক্রমিতের সংখ্যা যে ব্যাপক হারে বেড়ছে তা মেনে নিয়েছেন মেয়র। তবে ফিরহাদ হাকিমের দাবি, 'জ্বর, সর্দি, কাশি হলেও কলকাতার ৮০ শতাংশের মধ্যে কোনও উপসর্গ নেই। মাত্র ২০ শতাংশের উপসর্গ রয়েছে। এর মধ্যে মাত্রা তিন শতাংশ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।'
পুরনিগমের কর্মীদের উদ্দেশ্যে মেয়রের পরামর্শ, 'পুরনিগমের কোনও কর্মীর জ্বর, সর্দি, কাশি হলে তাঁরা পাঁচ দিনের মাথায় একবার টেস্ট করান। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাঁরা কাজে যোগ দিন।'
গত কয়েকমাসে কলকাতা সহ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা কমেছিল। ফলে পুরনিগম পরিচালিত সেফ হোমগুলির বেশিরভাগই প্রায় বন্ধকরে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ফের করোনার প্রকোপ বাড়ছে। এই অবস্থায় আবারও পুরনিগম সেফ হোম চালু করবে বলে বর্ষশেষের সন্ধ্যায় ঘোষণা করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন- শিয়রে কোভিড ঢেউ! বর্ষশেষে মাস্কহীনদের বিরুদ্ধে শহরে অভিযান, পুলিশের মাইকিং
আরও পড়ুন- বড় চ্যালেঞ্জ কী? কলকাতার নগরপালের দায়িত্ব নিয়েই জানালেন বিনীত গোয়েল