কলকাতা সহ সংলগ্ন জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ঊধ্বমুখী। প্রবীণ-প্রবীণাদের সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা, হাওড়া ও বিধাননগরে বহুতলে বসবাসকারী বয়স্ক-বয়স্কাদের তথ্য সম্বলিত তালিকা তৈরির সিদ্ধান্তের কথা দু'সপ্তাহ আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো কলকাতাপুর এলবাকার ১৪৪ ওয়ার্ডে বসবাসকারী প্রবীণ-প্রবীণাদের স্বাস্থ্য সম্বলিত তথ্য তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরনিগম। এই তালিকা আগের পরিকল্পিত তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকরী বলে জানা গিয়েছে।
করোনায় ষাটোর্ধ্বদের মৃত্যুর হার বেশি। সেকথা বিবেচনা করেই গত বুধবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনিগম আধিকারিকদের সমীক্ষার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন। বেশি বয়স্ক-বয়স্কারা আনুসাঙ্গিক কী রোগে বেশি ভুগছেন তা দেখাই এই সমীক্ষার মূল উদ্দেশ্য। করোনা সংক্রমিতদের ক্ষেত্রে এই আনুসাঙ্গিক রোগ মারাত্মক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই তালিকার ফলে প্রবীণ-প্রবীণাদের করোনা চিকিৎসায় যেমন সুবিধা হবে, তেমনই কলকাতায় মৃত্যুর হারও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য কলকাতায় করোনায় মৃত্যুর হার পশ্চিমবঙ্গের পরিসংখ্যানের তুলনায় তুলনায় ১.২৫ শতাংশ বেশি। এখনও পর্যন্ত শহরে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে এগারোশর বেশি মানুষের, যা রাজ্যব্যাপী মৃতের প্রায় ৪৩ শতাংশ।
পরিসংখ্যান অনুসারে, করোনা সংক্রমণে ৬১-৭৫ বয়সীদের মৃত্যুর হার ৬.২৬ শতাংশ। ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যুর হার ১৩.৯ শতাংশ। মোট মৃত্যুর মধ্যে ৮৭.৮ শতাংশেরই মৃত্যু হয়েছে আনুসাঙ্গিক রোগের কারণে।
কলকাতা পুরনিগমের এক চিকিৎসকের কথায়, 'হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিশ, সিওপিডি করোনার জন্য অত্যন্ত খারাপ। তাই প্রবীণ-প্রবীণাদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় তা নির্ধারণেই এই তথ্য তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কলকাতাতে সমীক্ষা হচ্ছে।'
আশা কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের প্রত্যেক বরোতে এগজিকিউটিভ মেডিক্যাল অফিসার এই সমীক্ষার জন্য দল গঠন করবেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা বয়স্ক-বয়স্কাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেবেন ও তাঁদের শারীরিক সমস্যার তথ্য লিপিবদ্ধ করবেন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন