এগরায় বিয়েবাড়িতে গিয়েই কি মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত কলকাতায় দত্তাবাদের বৃদ্ধ? আপাতত রাজ্যের দশম করোনা আক্রান্তের ঘটনায় উঠে আসছে এই প্রশ্নই। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুরের এগরাতে এক বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরেই জ্বর ও শ্বাসকষ্টে কাবু হন বৃদ্ধ।
৬৬ বছর বয়সী নয়াবাদের বাসিন্দা এই বৃদ্ধ এ মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত। মঙ্গলবার ২৩ মার্চ তিনি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পজিটিভ। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশ ভ্রমণ করেননি। কোভিড-১৯ আক্রান্তের পরিবারের কেউও বিদেশে বা করোনা আক্রান্ত দেশগুলিতে সাম্প্রতিক সময়ে যাননি বলে খবর। বর্তমানে ওই বৃদ্ধের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ভর্তি কোয়ারান্টাইনে। তাঁর বাড়ির সামনে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত নয়াবাদের বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা আপাতত সঙ্কটজনক। ভেন্টিলেশনে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: Live: কমলো রেপো-রিভার্স রেপো রেট
স্বস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ সন্দেহে ২৯৭ জনের লালারস পরীক্ষা হয়েছে। ২৫৯ রিপোর্টই নেগেটিভ। বাকিদের ২৮ জনের রিপোর্ট আসা এখনও বাকি রয়েছে। রাজ্য করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০। মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের।
রাজ্যে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন লন্ডন ফেরত এক তরুণ। এরপর আক্রান্ত হন বালিগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবক। প্রথমজনের পরিবারের সদস্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও দ্বিতীয় আক্রান্তের পরিবারের তিন সদস্যের শরীরে কোভিড ১৯ সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। হাবরার বাসিন্দা স্কটল্যান্ড ফেরত এক তরুণীর শরীরেও মিলেছিল করোনাভাইরাসের নমুনা। এরপর দমদমের বাসিন্দা বছর ৫৭-র এক প্রৌঢ়ের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এছাড়াও মিশর এবং ব্রিটেন ফেরত এ রাজ্যের দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি মোকাবিলবায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে এই মুহূর্তে। দেশ জুড়ে বন্ধ গণপরিবহ। মালগাড়ী বাদ দিয়ে সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্থগিত। উড়ান চলাচলেও জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নিয়ম ভাঙলেই ৬ মাসের হাজতবাস বা হাজার টাকার জরিমানা গুণতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।