এক সপ্তাহও হয়নি, মালবাজারে মাল নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বানে মর্মান্তিক কাণ্ড ঘটে গেছে। জলে তোড়ে ভেসে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এখনও খোঁজ মেলেনি অনেকের। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। কিন্তু এত বড় বিপর্যয়ের পরও হুঁশ ফেরেনি মানুষের। সোমবার রাতে কলকাতার নিমতলা ঘাটে একই বিপর্যয় ঘটে গেল। গঙ্গার বানে জলে তলিয়ে গেলেন ৬ জন। তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, একজনের দেহ উদ্ধার হয় মঙ্গলবার সকালে। এখনও খোঁজ নেই দুজনের।
জানা গিয়েছে, মৃতদেহ সৎকার করতে এসে ঘটে এই বিপত্তি। সোমবার রাতে নিমতলা গঙ্গার ঘাটে জলে নেমে সেলফি তুলতে যান ৬ যুবক। ঘাটের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা অনেকেই বারণ করেন। তার আগে পুলিশের তরফে বান আসার সতর্কতা প্রচার করা হয়। কিন্তু কারও কথায় কর্ণপাত করেননি ওই যুবকরা। বানের জলে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাঁদের।
এর পর স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় তিনজনকে। নিখোঁজ ছিলেন তিনজন। এর পর বিপর্যয় মোকাবিলা দল আসে ঘাটে। নামানো হয় ডুবুরি। মঙ্গলবার সকালেও চলছিল উদ্ধারকাজ। ফের বানের জল আসে, তখন একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এখনও নিখোঁজ দুজন। তাঁদের খোঁজে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
আরও পড়ুন মোমিনপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দাবি পুলিশের, তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকরা প্রত্যেকেই বেলেঘাটার শিবতলা এলাকার বাসিন্দা। গতকাল রাতে দেহ সৎকারের জন্য এসেছিলেন নিমতলা ঘাটে। রাত ১০টার পর গঙ্গায় বান আসে। সেই সময় ঘাটের সিঁড়িতে বসেছিলেন ৬ জন। জলের তোড়ে ভেসে যান সবাই। স্থানীয়রা এর পর জলে ঝাঁপিয়ে দুজনকে টেনে তোলেন। একজন নিজেই সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন।
স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বান আসছে জেনেও ওই যুবকরা ঘাটের বিপজ্জনক অংশে বসে সেলফি তুলতে থাকেন। মাইকে ঘোষণাও শোনেননি তাঁরা। স্থানীয়রা বারণ করলেও কর্ণপাত করেননি। মালবাজারে হড়পা বানে এত বড় বিপর্যয়ের পড়েও মানুষের হুঁশ ফেরেনি, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।