সাতসকালে রহস্যজনক ভাবে উধাও কলকাতার ব্যবসায়ী। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের গাড়ির খোঁজ পাওয়ার পর রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। সেতুর উপর গাড়ি রেখে কোথায় গেলেন তিনি, তা নিয়ে ধন্দ। তাহলে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি? খোঁজ লাগাতে নদীতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি।
কলকাতার কড়েয়ার বাসিন্দা শ্রবণ কুমার বিড়লা প্রতিদিন সকালে সাইকেল নিয়ে বেরোতেন। রবিবার গাড়ি নিয়ে বেরোন তিনি। জানা গিয়েছে, গত ২০ দিন আগে করোনা আক্রান্ত হন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। বেশ কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এমনটাই দাবি তাঁর স্ত্রীর। তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন তিনি সুস্থ। তবে স্বামী এদিন হঠাৎ কোথায় উধাও হয়ে গেলেন, এবং ব্রিজের গাড়ি রেখে কোথায় চলে গেলেন তা ভেবে আশঙ্কা-উদ্বেগে রয়েছেন স্ত্রী।
পুলিশ এদিন সকালে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর হাওড়াগামী লেনে গাড়িটিকে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে। সচরাচর সেতুর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা বেআইনি। গাড়ির দরজা খোলা ছিল এবং চাবিও ঝুলছি। তারপরই পুলিশের সন্দেহ হয়। গাড়ির নম্বর ও কাগজপত্র দেখে পরিবারের হদিশ মেলে। তারপর ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন করে পুলিশ। তাঁরা কিছু বলতে না পারায় পুলিশের সন্দেহ গাঢ় হয়। এরপর গঙ্গায় ডুবুরি নামে তল্লাশির জন্য। পুলিশের অনুমান, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি। মানসিক অবসাদ না অন্য কারণ তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। সেতুর উপর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।