Advertisment

রাতের শহরে পানশালায় গন্ডগোল, থামাতে এসে মদ্যপ যুগলের হাতে আক্রান্ত পুলিশ

বার বার পুলিশ আক্রান্ত হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
after behala accident kolkata police started new vehicle control rules , বাহালা কাণ্ডের জের, তড়িঘড়ি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের নয়া বিধি কার্যকর লালবাজারের

কলকাতা পুলিশের তৎপরতা।

রাতের শহরে ফের আক্রান্ত পুলিশ। কয়েক দিন আগে হরিদেবপুর এলাকায় ট্রাফিক আইন ভাঙায় এক বাইকচালককে আটকানোয় আক্রান্ত হয়েছিলেন এক সার্জেন্ট এবং সিভিক ভলান্টিয়ার। এবার এক যুগলের বিরুদ্ধে পুলিশকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে আনন্দপুর এলাকার এই ঘটনা। অভিযুক্ত যুবক সৌরভ মল্লিক এবং তাঁর বান্ধবী আলেঙ্কা মল্লিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে বার বার পুলিশ আক্রান্ত হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে।

Advertisment

জানা গিয়েছে, রবিবার মধ্যরাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ১০০ ডায়ালে ফোন করে এক যুবক জানান, তিনি এবং তাঁর বান্ধবী বাইপাসের ধারে একটি পানশালায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানকার কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে নাকি দুর্ব্যবহার করেছে। এর পর সেখানে পৌঁছন এক এএসআই, এক হোমগার্ড এবং এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পানশালার কর্মীরা ওই যুগলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। কিন্তু কর্তব্যরত এএসআই লিখিত অভিযোগ জানাতে বললে ওই যুবক পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি করেন।

অভিযোগ, বাকবিতন্ডার মধ্যেই ওই যুবক কর্তব্যরত এএসআই-কে ধাক্কা মারেন। হোমগার্ড বাঁচাতে এলে তাঁকেও ধাক্কা মারা হয়। শেষে মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার বাধা দিতে গেলে তাঁর চুল ধরে মারধর করেন যুবকের বান্ধবী। মহিলার পেটেও লাথি মারা হয়। পানশালা কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছে, ওই যুগল অন্য খদ্দেরদের ভিডিও করছিলেন। বারণ করলেও তাঁরা শোনেননি। এর পর দুজনকে পানশালা থেকে বের করে দেওয়া হয়।

মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। তাঁরা সৌরভ এবং আলেঙ্কাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত যুগল মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশকে মারধর-নিগ্রহ এবং অশালীন আচরণের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।

kolkata police West Bengal
Advertisment