শাহরুখ খানকে আইআইপিএম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কেসে জিজ্ঞাসাবাদ কেন করা হবে না, বৃহস্পতিবার তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালতের পক্ষ থেকে বলিউডের এই তারকাকে একটি হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শাহরুখ খান, অথচ উক্ত ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের কোনও ইউজিসি নথিভুক্তিকরণ ছিল না বলে অভিযোগ রয়েছে।
কোনও রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ওই সংস্থা বিবিএ এবং এমবিএ কোর্সের জন্য ছাত্রদের থেকে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করেন কলকাতার এক নাগরিক। তাঁর ছেলেকে ভর্তি করার জন্য তিনি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে এডুকেশনাল লোন নিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে আইআইপিএম-এর কোনও ইউজিসি বৈধতা নেই। এর পরে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় ঋণ আদায়ের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে চাপ দিলে, শেষমেশ ওই বছরই সল্টলেকের ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। সল্টলেকেই আইআইপিএম-এর একটি শাখা ছিল। ওই শাখার পক্ষ থেকেই ২০১২ সালে একটি ক্যাম্পাসিং করা হয় এবং ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে সংস্থায় নথিভুক্ত হয় অভিযোগকারীর ছেলে এবং আরো এক আবেদনকারী।
অভিযোগকারী তাঁর পুলিশি অভিযোগে লেখেন যে শাহরুখ খান যেহেতু ওই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন, তাই তাঁর ছবি দেখেই ছেলেকে সংস্থায় ভর্তি করান তিনি। এছাড়াও অভিযোগ জমা পড়ে আইআইপিএম-এর কর্ণধার অরিন্দম চৌধুরির বিরুদ্ধে। সেই কেসটি বিধাননগর কোর্ট থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে হাইকোর্টে ওঠে। হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার, শাহরুখ খান, এবং কোম্পানির মালিক, সবাইকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত এও জানিয়েছে যে পুজোর ছুটির পর কোর্ট খোলার দুসপ্তাহের মধ্যেই হলফনামা জমা দিতে হবে।
যেহেতু শাহরুখ ওই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন এবং সংস্থার বিজ্ঞাপনে একাধিকবার তাঁর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তাই শাহরুখকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রসঙ্গটি তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই কেস সংক্রান্ত তদন্তে শাহরুখ খান এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের কেন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না, সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।