হাতে গোনা মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই শুরু হতে চলেছে বাঙালির সাধের দুর্গাপূজা। উৎসবের মরশুমে করোনা মহামারির কারণে জারি রয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। পূজোর মুখে আবারও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছে তৃতীয় ঢেউ। সব মিলিয়ে এবারের দুর্গাপুজোতেও জারি থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ। এসবের মধ্যেই পালিত হতে চলেছে বাঙালির প্রাণের উৎসব শারদোৎসব। পুজো উপলক্ষে এক অভিনব আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে। এবার পুজো হবে হাসপাতালেই। পুজোর দিনগুলিকে রোগীদের কাছে স্পেশাল করে তুলতে অভিনব এই আয়োজন করা হয়েছে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।
কোভিড ওয়ার্ডেই হবে এবারের দুর্গাপুজো। ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য বিশেষ এই উদ্যোগ সামনে আনছে দক্ষিণ কলকাতার নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এই হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীদের জন্য দুর্গাপুজোর আয়োজনের পাশাপাশি থাকছে অন্যান্য সব রকমের আচার অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ। 'আরতি', 'পুষ্পাঞ্জলি' দেওয়ারও বিশেষ সুযোগ রাখা হচ্ছে হাসপাতালের তরফ থেকে। এরজন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডের একটি অংশ ফাকা রাখা হয়েছে। সেখানেই হবে ‘পুষ্পাঞ্জলি’। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
একজন পুরোহিত পুজোর সকল আচার অনুষ্ঠান পালনের দায়িত্বে থাকবেন। তিনি সকল শয্যায় গিয়ে গিয়ে রোগীদের শান্তির জল-সহ সকল উপাচার সামগ্রী রোগীদের দেবেন। কেবল কোভিড আক্রান্তদের জন্য নয়, দেবী দুর্গার কাছে হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য রোগীদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীদের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে পুজোর ঐতিহ্যবাহী ‘ভোগ প্রসাদ’ বিতরণ করা হবে। এর জন্য ওয়ার্ডে রাখা থাকবে একজন ডায়েটিশিয়ানকে। তিনি রোগীদের কেস হিস্ট্রি অনুসারে সাধারণ খাদ্য, ডায়াবেটিক ডায়েট, সেমি সফট ডায়েট এবং লিকুইড ডায়েটের জন্য পৃথক খাদ্য তালিকা তৈরি করবেন। এই কাজও প্রায় শেষের দিকে।
নারায়ণ মেমোরিয়াল হাসপাতালের সিইও সুপর্ণা সেনগুপ্ত এই পুজো প্রসঙ্গে জানান, ‘মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোর আমেজ। পুজো ঘিরে বাঙালির উদ্দীপনার অন্ত নেই। এখনও কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, আমরা আমাদের হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে এবারের দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত। মহামারীর কারণে রাশ টানা হচ্ছে এবারের উৎসবেও। আমরা আমাদের হাসপাতালে পুজোর পাশাপাশি রোগীদের খাবারের কথা মাথায় রেখে রোগীদের জন্য বিশেষ ‘পুজোর থালার’ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা রোগীদের বাংলা, চাইনিজ এবং কন্টিনেন্টাল খাদ্য সামগ্রী পরিবেশন করব’।
ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখন টেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন