Advertisment

'কোভিড বিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে বইমেলা আয়োজনই বড় চ্যালেঞ্জ', বলছেন ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়

করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে পিছিয়েছে কলকাতা বইমেলা।

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
Kolkata Book Fair

কলকাতা বইমেলার একটি স্টল। ফাইল ছবি

বইপ্রেমীদের যেন অপেক্ষার অবসান! করোনা আবহে পিছিয়ে যাবে না স্থগিত হবে তা নিয়ে চিন্তার শেষ ছিল না। তবে নির্ধারিত দিনক্ষণ পিছিয়ে কলকাতা বইমেলার নয়া নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে সোমবার। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বটে দিনপরবর্তনের ঘটনাটি, অবশেষে সন্ধ্যে নাগাদ জানানো হয় ফেব্রুয়ারির ২৮ থেকেই শুরু বইপ্রেমীদের উৎসব। প্রতিবছরের মতো এবারও থাকছে বেশ কিছু আকর্ষণ! সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কেই অনুষ্ঠিত হবে ২২'-এর আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলা। 

Advertisment

তবে এবছরের আকর্ষণ কী? কীরকম বিধিনিষেধ থাকছে জানতেই কথা বলা হয়, বুক পাবলিশার্স গিল্ডের অন্যতম সদস্য ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে। জানালেন বেশ কিছু নতুন তথ্য। আপনি যদি বইমেলার একনিষ্ঠ ভক্ত হন তবে এগুলি কিন্তু না জানলেই নয়। ত্রিদিববাবু জানালেন, এবছর সবথেকে বড় উদ্যোগ এখানেই যেন মহামারী পেরিয়ে বইমেলা সুষ্ঠ ভাবে অনুষ্ঠিত করতে পারেন। মাঝখানে যেন বাধা না আসে। মানুষের কাছে ঠিক পুরনো আমেজেই বইমেলা যেন পৌঁছে যেতে পারে এটাই সকলের ইচ্ছে। 

এবছরের থিম প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও থাকছে নতুনত্ব একটি বিষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সঙ্গেও সত্যজিৎ রায়ের শতবর্ষ, ঋষি অরবিন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম সার্ধশতবর্ষ, নেতাজীর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবছরের বইমেলায় বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের এক বিরাট প্রতিনিধি দল আসার কথা রয়েছে। তাদের উপস্থিতি এ বছর একান্ত কাম্য বলেই জানিয়েছেন তিনি। রাশিয়া থেকে আসার কথা রয়েছে একটি ব্যালে ট্রুপের। বইমেলা পিছিয়ে যাওয়ার তির যে কোভিডের দিকেই, সেটাও স্পষ্ট জানান তিনি। বলেন, "সবকিছুই নির্ভর করছে অতিমারির উপরেই। সবদিক চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২৮ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে বইমেলা, আশা করা যাচ্ছে সেইসময় করোনা অতিমারির প্রভাব কমবে কিছুটা হলেও।" 

বইমেলায় এবছরও থাকছে নতুন সবরকম প্রকাশনার সমাবেশ। ছোটবড় মিলিয়েই থাকছে বইমেলার অন্দরের আয়োজন। জানান, "সব যদি ঠিক থাকে তবে প্রতিবারের মতোই এবারও থাকবে অনুষ্ঠানের আয়োজন। মানুষ যদি নির্বিঘ্নে আসতে পারেন এর থেকে আনন্দের আর কিছুই হয় না। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে লেখকদের কিন্তু নিজেদের প্রকাশনার স্টলে অবশ্যই দেখা যাবে।" তিনি বলেন, "এই তো সুযোগ! পছন্দের লেখকের সঙ্গে দেখা হওয়ার।" 

কোভিড বিধি মেনে কীভাবে সবকিছু হবে এবছর? তিনি বলেন, "ভাবা রয়েছে অনেক কিছুই! তবে কতটা সম্ভব করতে পারব সেটা জানি না।" সুরক্ষা বিধি হিসেবে কী কী ধার্য করা হতে পারে?

  • মাস্ক না পরলে প্রবেশ নিষেধ! 
  • ডবল ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট দেখেই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি। 
  • শুরুতেই থাকবে স্যানিটাইজেশন পদ্ধতি। 
  • প্রতিটি স্টলে স্যানিটাইজেশন। 
  • ওপেন গ্রাউন্ডে তাপমাত্রা পরিমাপ এবং স্যানিটাইজেশন। 
  • অবশ্যই যেন প্রত্যেকের মাঝে দূরত্ব থাকে। 
  • স্টলগুলিকে খোলামেলা রাখার মতো বন্দোবস্ত করা হবে। 

তবে একটি আতঙ্কের সুরও মিলল তাঁর কথায়। এবছর কোভিডের কারণে বিদেশি পর্যটকরা আসছেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এবং নিজ শহরের মানুষরাও কতটা সক্রিয় ভাবে বইমেলায় থাকবেন সেটিও বেশ ভাবাচ্ছে তাঁকে। অতিমারির শিকল ভেঙে সকলের আসা কাম্য বলেই জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এবছর দু সপ্তাহ ধরে চলবে বইমেলা! তিনি বলেন, প্রতিবার ১০/১২ দিন মতো হয়, এবছর তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও দুইদিন।

Kolkata Book Fair COVID-19
Advertisment