করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই পিছিয়ে গেলো কলকাতা বইমেলা। ৩১ জানুয়ারির বদলে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এমনটাই পাবলিসার্স বুক সেলার্স গিল্ড সূত্রে খবর।
তবে ঠিক কতদিন বইমেলা চলবে সিদ্ধান্ত হয়নি। বুক সেলার্স গিল্ডের বৈঠকে স্থির হবে দিনক্ষণ। এদিকে, সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। তার মধ্যেই রাজ্য সরকার কোভিড নির্দেশিকা জারি করেছে। তবুও মানুষের সচেতনতায় খামতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সর্বত্র। সোমবার বারুইপুর সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা জায়গায় চলে পুলিশি অভিযান। বারুইপুরের কাছারি বাজার চত্বরে করোনা বিধি মেনে চলার ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ চালায় পুলিশ। মাস্ক ছাড়া ঘোরায় বেশ কয়েকজন আটক। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার বারুইপুর পুরসভা এলাকায় দোকান, বাজার বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের।
শীতকাল মানেই গ্রামবাংলায় যাত্রা কিংবা বিচিত্রানুষ্ঠানের মরসুম। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে ধুঁকছে যাত্রাশিল্প। বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিল্পীরা সারা বছর যে মরসুমের অপেক্ষায় থাকেন। কারণ, সেখান থেকেই দু-বেলা পেট ভরানোর অর্থ মেলে। তবে বাজার এখন মন্দা। কারণ, অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো তাঁদের শিল্পেও থাবা বসিয়েছে করোনা। অতিমারী দাপটে প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেথিল গ্রাম-বাংলা, শহরতলীর শিল্পীদের জীবনযাপন। গতবছর করোনার থাবা হালকা হতেই যখনই প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল শীতকালীন অনুষ্ঠানের জন্য, ঠিক তখনই আবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে কোভিড। তবে রাজ্য সরকার এবার যাত্রাপালার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিল।
সোমবার ফের কোভিডবিধি শিথিল করল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে ঘোষণা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে রাত ৯টা অবধি ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে আয়োজন করা যাবে যাত্রা অনুষ্ঠানের। খোলা আকাশের নীচে হলে, সেক্ষেত্রে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক থাকতে পারবেন। আর ইন্ডোর কোনও মঞ্চে হলে, সেখানে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে ২০০জন দর্শক উপস্থিত থাকতে পারবেন। কিংবা সেই হলের কলেবর যদি আয়তনে ছোট হয়, সেক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ দর্শকই থাকতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে পড়তে থাকুন