বৌবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বললেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত হাতজোড় করে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের অনুরোধ করছেন তাঁরা। বসত ভিটে ছেড়ে দূরে যেতে চাইছেন না দুর্গা পিথুরি লেনের বাসিন্দারা। তাঁরা নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ করার অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন, "জীবনের চেয়ে বড় কিছু হয় না। আপনাদের বাড়ি এখন বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। সেখানে এই মুহূর্তে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।"
সোমবার বিকেলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের ফলে বৌবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিনে ক্ষতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রাউটিং-এর কাজ চলছে যেখানে, সেই এলাকাও ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিল নগরপাল অনুজ শর্মা, তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, একাধিক মেট্রো আধিকারিক, ও বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: উন্নতির চাকায় চুরমার পৈতৃক ভিটে? আশঙ্কায় প্রহর গুনছে বৌবাজার
বহুক্ষণ ধরে পর্যবেক্ষন করে মেট্রো আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমার গোটা দল মেট্রো আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। তাতে একটা জিনিস স্পষ্ট বোঝা গেল, যদি রাতারাতি সকলকে সরিয়ে নিয়ে আসা না হতো, তাহলে অনেক মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যেত। আমরা আগামীকাল বেলা তিনটের সময় মেট্রো আধিকারিক, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, সকলকে নিয়ে বৈঠক করব। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।"
মমতা আরও বলেন, "আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি কাল বৈঠকের পরে একটা সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হবে। আমি বলেছি আপনাদের যা যা ডকুমেন্ট রয়েছে তা লিখে মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করতে, যার একটা কপি আমাদের কাছেও থাকবে। কলকাতা পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ, মেট্রো রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার সমাধান সূত্র বের করে আনার চেষ্টা করব।"
সবশেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি এতে কোনো রাজনীতি আনতে চাইছি না। এখানে রাজনীতির জায়গা নেই। একসঙ্গে কাজ করে বিপর্যয় মোকবিলা করব। ক্ষতিগ্রস্তরাও আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। কাল বৈঠকে সেসব নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমি চাইনা ক্ষতিগ্রস্তরা আরও সমস্যায় পড়ুন।"