কলকাতা মেট্রোর রেকের দরজায় ফের হাত আটকালো যাত্রীর। জানতে পেরে তড়িঘড়ি ট্রেন থামান মেট্রোর চালক। ট্রেন থামিয়ে উদ্ধার করা হয় যাত্রীকে। কোনওরকমে প্রাণে রক্ষা পেলেন ওই যাত্রী। সকাল ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ এ ঘটনা ঘটেছে নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে। কলকাতা মেট্রো সূত্রের খবর, এক যাত্রীর হাতের তালু আটকে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। যাত্রীর হাতে বড়সড় কোনও আঘাত লাগেনি বলে দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোয় অভিনব প্রযুক্তি, যাত্রী সুরক্ষায় অগ্রাধিকার
ঠিক কী ঘটেছে এদিন?
দমদমগামী মেট্রোর একটি নন-এসি রেকে ওঠেন এক যাত্রী। ওই যাত্রী মেট্রোর ভিতরে ছিলেন। ভিতরে থাকা অবস্থাতেই যাত্রীর হাতের তালু মেট্রোর রেকের দরজায় আটকে যায়। এই অবস্থাতেই ট্রেন চলতে শুরু করে। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে নজরে আসতেই ট্রেন থামানো হয়। তৎক্ষণাৎ ট্রেনটিকে থামিয়ে দরজা খোলা হয়। এ প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রোর এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘সকাল ৯ -১২ মিনিটে নেতাজি ভবনে স্টেশনে আপ লাইনে মেট্রোর নন এসি রেকে একেবারে শেষ মুহূর্তে এক যাত্রী ট্রেনে ওঠেন। ওই যাত্রীর হাতের তালু বাইরে থেকে যায়। সেই অবস্থায় মেট্রো চলতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ মোটরম্যানকে অ্যালার্ট করেন। তারপরই দরজা খোলা হয়’’।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা মেট্রো রেলে, দরজায় হাত আটকে মৃত এক
উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে মেট্রোর ‘মেধা রেকে’ হাত আটকে ৬৬ বছর বয়সী সজল কুমার কাঞ্জিলালের মৃত্যু হয়। যে ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় শহর কলকাতায়। কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে এ ঘটনা প্রথম বলে দাবি করা হয়। এ ঘটনার পর সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ঘটনার পরই মেট্রোর দরজা ঠেলে জোর করে ঢুকলে জরিমানা আদায় করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রোয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এদিনের ঘটনায় ফের মেট্রোর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠল বিভিন্ন মহলে।