নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে ফের শুরু হল মেট্রো পরিষেবা। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার নেট পরীক্ষার্থীদের জন্য পাতাল যান পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু আজ সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে গেল মেট্রো পরিষেবা। সামাজিক দূরত্ব সহ অন্যান্য বিধি কঠোরভাবে বজায় রেখেই পরিষেবা শুরু হয়েছে।
করোনা আবহে ই-পাস ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। আগেই জানিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাত ৮টা থেকে ই-পাসের আবেদন প্রক্রিয়া চালু করা হয়। এ দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় পরিষেবা। নোয়াপাড়া ও কবি সুভাষ- দুই প্রান্তি স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়ার কথা রাত ৭টায়।
সামাজিক দূরত্ব সহ অন্যান্য বিধি পালন করেই পরিষেবা শুরু।
স্মার্ট ফোনে কলকাতা মেট্রো রেল অ্যাপ ডাউনলোড করতে হচ্ছে। লিঙ্কে ক্লিক করে যাত্রীকে নিজের নাম, পরিচয়, যাত্রার সময় এবং কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশনে তিনি যেতে চান, তা জানাতে হবে। এর পরে ই-পাস পাঠানো হচ্ছে সেই যাত্রীর মোবাইলে, যা আদতে একটি কিউ আর কোড। ওই কোডের রং দেখেই মেট্রোর প্রবেশপথে থাকা রক্ষীরা বুঝতে পারছেন, সেই যাত্রীর কাছে মেট্রোযাত্রার বৈধ অনুমতি রয়েছে কি না। কোন সময়ে কী রঙের কিউ আর কোড দেওয়া হচ্ছে, তা গোপন রাখা হচ্ছে।
কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোয় আপাতত দিনে ১১০টি ট্রেন চালাচল করবে। ব্যস্ত সময়ে ১০মিনিট ছাড়া মেট্রো চলবে। রবিবার পরিষেবা বন্ধ থাকছে।
একই সঙ্গে এ দিন চালু হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও। যেহেতু যাত্রীর সংখ্যা কম, তাই এখন এই রুটে রোজ ৭২টি ট্রেন চালাচল করবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য আপাতত ই-পাস লাগবে না। স্মার্ট কার্ড হলেই পরিষেবা মিলছে।
সর্বসাধারণের জন্য আজ মেট্রো পরিষেবা চালু হলেও রবিবারই তার মহড়া সেরে নেওয়া হয়। ওই দিন নেট পরীক্ষার্থীদের জন্য চালু হয় পরিষেবা। সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করে। রবিবার রাত আটটা পর্যন্ত মোট ১,৬৪৮ জন যাত্রী মেট্রোয় চড়েছেন। এর ফলে মোট ৬৮ হাজার ৬৬০ টাকা রোজগার করেছে মেট্রো। সবচেয়ে বেশি মানুষ গিয়েছেন দমদম স্টেশনের উপর দিয়ে। প্রায় ৩০০ জন যাত্রী দমদম থেকে ট্রেনে চড়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন