Kolkata Police-Sariful Kabir: ঢাকার এই বাসিন্দা কলকাতা পুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। (ছবি-ফেসবুক)
Kolkata Police Dhaka Bangladesh: ঢাকা থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করতে এসে কলকাতা পুলিশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে গেলেন শরিফুল কবীর। সম্প্রতি ঢাকা শহরের ওই বাসিন্দা কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। তাঁর মত আরও অনেকেই বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতাকেই বেছে নেন।
Advertisment
Cyber Crime-Sanjay Saha: দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এই পুলিশ অফিসার। (ছবি-ফেসবুক)
গত পরশু শরিফুল কবীর ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার জন্য একটি ক্যাব ভাড়া নিয়েছিলেন। নেমেছিলেন গল্ফ গ্রিন থানা এলাকায়। ভাড়া মিটিয়ে এগোতেই হঠাৎ তাঁর ফোন করে বাংলাদেশে জানানোর কথা মনে পড়ে। এরপর পকেট থেকে ফোন বের করতে গিয়ে তিনি দেখেন, ফোন কাছে নেই। কোথায় ফোন ফেলেছেন, সেই নিয়ে যখন ভাবনাচিন্তা করছেন, তখন শরিফুল কবীরের মনে পড়ে, ফোনটা পকেট থেকে বের করে গাড়িতেই সিটের ওপর রেখেছিলেন। নামার সময় বেখেয়ালে সেটা সঙ্গে নিতে পুরোপুরি ভুলে গেছেন। কিন্তু, যখন তাঁর এসব মনে পড়ে, ততক্ষণে ক্যাবটি চলে গেছে। ফোনটা বেশ দামি। তার ওপর সেই ফোনেই ছিল শরিফুল কবীরের চিকিৎসার সব ডকুমেন্ট।
তিনি তাই উপায় না-পেয়ে ছুটে যান গল্ফগ্রিন থানায়। অভিযোগ জানানোর পর, শরিফুল কবীরের সামনেই তাঁর ফোন নম্বরে থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর প্রসেনজিৎ পাল অনেকবার ফোন করেন। কিন্তু, ফোন বেজে গেলেও কেউ তা ধরেনি। তার ওপর সমস্যা বাড়িয়ে দেন শরিফুল কবীর নিজে। তিনি যে ফোন থেকে ক্যাব বুক করেছিলেন। সেই, ফোনটাই গাড়িতে ফেলে এসেছিলেন। ফলে, থানায় গাড়ির নম্বরটাও বলতে পারেননি।
এই পরিস্থিতিতে সহযোগিতার জন্য সাব-ইন্সপেক্টর প্রসেনজিৎ পাল যোগাযোগ করেন সাউথ সাবার্বান ডিভিশনের সাইবার শাখার ওসি সার্জেন্ট সঞ্জয় সাহার সঙ্গে। সঞ্জয় সাহার আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতায় বেশ কিছুক্ষণ পর ওই ক্যাব চালকের ফোন নম্বর জোগার হয়ে যায়। এরপর ওই ক্যাব চালককে গল্ফগ্রিন থানায় ফোনটি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন ওসি সার্জেন্ট সঞ্জয় সাহা। তার পরই ফোন ফেরত পান শরিফুল কবীর। বাংলাদেশের ওই বাসিন্দা ঘটনায় রীতিমতো আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের প্রচেষ্টাকে সহৃদয় ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশের এই সাফল্য অবশ্য নতুন নয়। অনেকেই মোবাইল হারানোর ঘটনায় অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা পুলিশের মাধ্যমে সুরাহা পেয়েছেন। আবার হারানো মোবাইল ফিরে পাননি, এমন সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এর পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোবাইল চুরি গেলেও তাঁরা সেই অভিযোগ নেন না। ডায়েরি করার সময় কার্যত মোবাইল হারিয়ে গেছে লিখতে বাধ্য করেন।