জামাত-উল-মুজাহিদিন (বাংলাদেশ) জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। জেএমবি-র শীর্ষস্থানীয় নেতাকে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। বিহারের গয়া থেকে জেএমবি জঙ্গি ইজাজ আহমেদকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। ট্রানজিট রিমান্ডে ইজাজকে কলকাতায় আনা হবে বলে খবর। ধৃত জেএমবি জঙ্গির কাছ থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ওই নথি থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জঙ্গি ইজাজ আহমেদ বীরভূমের পানরুই গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৮ সাল থেকে জেএমবি জঙ্গি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। ‘আমির’ হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার। ভারতে জামাত জঙ্গিদের প্রধান নিয়োগকর্তা হিসেবে ইজাজ কাজ করত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সালাউদ্দিন সালেহাঁ, কওসরের মতো জেএমবি জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ ইজাজ।
আরও পড়ুন: সারদাকাণ্ডে শুভাপ্রসন্নকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ইজাজকে পাকড়াও করতে গত বেশ কিছুদিন ধরেই তার উপর নজরদারি চালাচ্ছিল এসটিএফ। ছদ্মবেশে তাকে শেষ পর্যন্ত গয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগেও বেশ কয়েকজন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাওড়ার সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে আসিফ ইকবাল নামের এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ২২ বছরের আসিফ ইকবাল ওরফে নাদিম ২০১৭ সাল থেকে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য।
ওই মাসেই শিয়ালদা স্টেশন থেকে মণিরুল ইসলাম নামে এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। বোধগয়া বিস্ফোরণের ঘটনায় মণিরুল জড়িত বলে অভিযোগ। কেরালার মালাপ্পুরম এলাকা থেকে আব্দুল মতিন নামে আর এক জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের পরই এ রাজ্য থেকে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল মতিন। কেরালা পুলিশের সাহায্যে মতিনকে পাকড়াও করা হয়।