ছন্দে ফিরতে চলেছে কলকাতা। পুরানো ভাড়াতেই বৃহস্পতিবার থেকে শহরের পথে নামছে বেসরকারির বাস। লকডাউনের মধ্যেই বাসের নতুন ভাড়ার তালিকা জমা দিয়েছিলেন বাসমালিকরা। কিন্তু পরিবহণমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এই সময় কোনও ভাবেই বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না। এরপর অসন্তুষ্ট বাসমালিকরা পথে বাস না নামানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে নানা টলাবাহানার পর অবশেষে পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাসে বৃহস্পতিবার থেকে আপাতত অপরিবর্তিত ভাড়ায় কলকাতার রাস্তায় বাস নামতে চলেছে। তবে এবার বাসের ভাড়া ঠিক করবে নবগঠিত রেগুলারিটি কমিটি।
দিনের পর দিন ভোগান্তি যেন বেড়েই চলছিল। আনলক ওয়ানের তৃতীয় দিনেও কলকাতার এই ছবি খুব একটা বদলায়নি। এদিন বাইকে, সাইকেলে বা হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছন অনেকেই। সরকারি বাস পথে নামলেও বুধবারও যথারীতি চরম ভোগান্তিতে পড়েন অফিসযাত্রীরা। কিছুতেই সুরাহা হচ্ছিল না কলকাতার গণপরিবহণে। অবশেষে আগামিকাল বৃহস্পতিবার প্রায় এক হাজার বেসরকারি বাস ও মিনিবাস মহানগরের পাথে নামতে চলেছে। 'যত সিট তত যাত্রী' এই নীতিতে নামবে বাস।
জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আজ মন্ত্রী আমাকে দুপুর ১টার সময় ফোনে বলেছেন, সার্বিক বিষয়টা আমরা বিবেচনা করছি। আপনারা পরিষেবাটা চালু করুন। আমরদের চারটে দাবি যুক্তিযুক্ত বলেছেন মন্ত্রী। যাত্রীরা কষ্ট পাচ্ছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে যতটা পারব পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব। সংগঠনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।" তবে রেগুলারিটি কমিটি বাস ভাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তবে জেলায় জেলায় বাস নামলেও পর্যাপ্ত যাত্রী হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাসমালিকরা। লোকাল ট্রেন না চললে এখানেও অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করছেন বাসমালিকরা। ওয়েস্টবেঙ্গল বাস ও মিনিবাস অ্য়াসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ বসু বলেন, "রেগুলারিটি কমিটির ওপর ভরসা রেখেই বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোর পাঁচটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাস চলবে। প্রতি গাড়িতে গ্লাভস, স্যানিটাইজার, মাস্ক দিচ্ছে সরকার।"