সারা দেশের সঙ্গে কলকাতাতেও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমণ হ্রাস পেতেই বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে তাদের কোভিড ওয়ার্ডগুলি। এমনিতেই ওমিক্রন দাপটে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দ্বিতীয় ঢেউ অপেক্ষা তুলনায় অনেক কম ছিল। সব দিন বিবেচনা করে মনিপাল, পিয়ারলেস এবং চার্নক হাসপাতাল তাদের কোভিড ওয়ার্ডগুলি বন্ধ করেছে।
মণিপাল, পিয়ারলেস এবং চার্নক নামে তিনটি বেসরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি তাদের মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের তরফেও কোভিড ওয়ার্ড বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে।, বাংলায় প্রথম বেসরকারি হাসপাতালের তালিকায় উঠে এসেছে মেডিকার নাম যারা তাঁদের কোভিড ওয়ার্ড সংক্রমণ কমার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছে।
পিয়ারলেস হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে সেখানে ভর্তি তিনজন কোভিড রোগীকে একটি সাধারণ আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । চার্নক হাসপাতালে আপাতত দুটি আইসোলেশন বেড খালি রয়েছে। মণিপাল হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে আইসিইউতে দুটি আইসোলেশন শয্যা চালু রাখা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে খালি কোভিড ওয়ার্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিয়ারলেস হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র বলেছেন যে 'কোভিড রোগীর সংখ্যা পাঁচের নিচে নেমে এসেছে, তাই কোভিড ওয়ার্ড আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে । তবে প্রয়োজনে আবারও ওয়ার্ড চালু করা হতে পারে'। চার্নক হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে 'গত সপ্তাহেই করোনা সংক্রমণ কমে আসার কারণে কোভিড ওয়ার্ড বন্ধ করা হয়েছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে মাত্র দুটি শয্যা রাখা হয়েছে তবে এই মুহুর্তে সেখানে কোন করোনা রোগী নেই'।
চার্নক হাসপাতালের এমডি প্রশান্ত শর্মা জানিয়েছেন, 'যেহেতু কোভিড রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, তাই একটি পৃথক ওয়ার্ডের কোন মানে হয় না'। মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের তরফে তার কোভিড ওয়ার্ডকে ছয় শয্যার আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সল্টলেক, মুকুন্দপুর এবং ঢাকুরিয়ার AMRI হাসপাতাল এই তিনটি ইউনিটের প্রতিটিতে একটি ১০ শয্যার কোভিড ইউনিট চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৩৫ জন। যা রবিবারের তুলনায় অনেকটাই কম। পজিটিভ কেস ২০ লক্ষ ১৬ হাজার ৪৭৩। বাড়ছে সুস্থতার হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১২১ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯২০ জন ভাইরাসকে হারিয়েছেন। সুস্থতার হার ৯৮.৮৮ শতাংশ।