বাংলা-সহ গোটা দেশে যখন অক্সিজেনের আকাল। সোশাল মিডিয়া জুড়ে পাহাড় থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত অক্সিজেনের লিডের খোঁজ। এই আবহে কলকাতায় খুলছে একটা গোটা অক্সিজেন পার্লার। উত্তীর্ণ ভবনে আপাত ভাবে ২৫ শয্যার এই পার্লারের পরিকাঠামো তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। পরিচালনার দায়িত্বে এসএসকেএম হাসপাতাল আর অক্সিজেন জোগাবে বেসরকারি সংস্থা লায়ন্স ক্লাব।
শনিবার এই পার্লারের শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন বিদায়ী পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই উদ্যোগের পিছনে কলকাতা পুরসভা ছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর এবং লায়ন্স ক্লাব। জানা গিয়েছে, সেখানে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে শিফট ভাগ করে ডাক্তার ও নার্স দেবে স্বাস্হ্য দফতর। আপাতত ২৫ শয্যা দিয়ে শুরু হলেও মে মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে অক্সিজেন পার্লারের শয্যা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২০০।
ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ ভবনের ৩ ও ৪ তলায় ১০০টি করে মোট ২০০ টি বেডের সেফ হাউস চলছে। সেই সংখ্যাও আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে বেড়ে হবে ৪০০। সেফ হাউসে যাঁরা আছেন, তাঁরা তো বটে, বাইরে কোনও রোগীর হঠাৎ অক্সিজেন স্যাচুয়েশনের মাত্রা কমলে এই পার্লারে আসতে পারেন।
তবে অবশ্যই রোগী ভর্তির আগে হেল্পলাইন নম্বর অর্থাৎ 9831768684 নম্বরে ফোন করে জেনে নিতে হবে বেড ফাঁকা কিনা।
কলকাতায় প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ানো হচ্ছে বেডের সংখ্যাও। দিনকয়েক আগেই উত্তীর্ণ ভবনে ৫০০ বেডের সেফ হোম তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামেও তৈরি করা হয়েছে সেফ হোম।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উত্তীর্ণ ভবনে করোনার প্রথম পর্যায়েই সেফ হোম তৈরি করার কথা ছিল। করোনার সংক্রমণ কমে যাওয়ায় তা আর করা হয়নি। দ্বিতীয় ঢেউ ভয়ংকর রূপ নেওয়ায় আবার সেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখানে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স থাকছে, এবার চালু হল অক্সিজেন পার্লারও। পাশাপাশি নিউ টাউন হজ হাউস এবং যাদবপুর কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম গড়ে উঠেছে করোনা হাসপাতাল হিসেবে। দুটি মিলিয়ে মোট ৬০০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে।
হজ হাউজ পরিচালনার দায়িত্বে চার্ণক হাসপাতাল আর কিশোর ভারতী পরিচালনার দায়িত্বে মেডিকা হাসপাতাল।
হজ হাউজে বসছে অক্সিজেন প্লান্টও। এমনটাই স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।