এ যেন একেবারে কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য! পরকিয়া খেলায় মেতেছেন স্ত্রী, আর সন্দেহ হতেই সটান গোয়েন্দার শরণাপন্ন স্বামী। স্ত্রীর বিরদ্ধে পরকিয়ার প্রমাণ জোগাড় করতে তাঁরই গাড়ির চালক বেশে গোয়েন্দাগিরি করতে শুরু করলেন প্রাইভেট ডিটেক্টিভ! তারপর? এক নয়, দুই নয়, ১৪ জনের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের প্রমাণ স্বামীর হাতে তুলে দিলেন নিযুক্ত গোয়েন্দা। এখানেই শেষ নয়। ঘটনাটা কলকাতা শহরের। এরপর কাহিনী মে ট্যুইস্টের স্রষ্টা স্বয়ং মহিলার স্বামী।
যে ১৪ জন ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি খবর পেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিঠি পাঠিয়ে নিজের ‘কষ্ট-যন্ত্রণা’র কথা আইনি নোটিসের মাধ্যমে জানিয়েছেন স্বামী। এমনকি, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পর্কের জেরে তাঁর যেমন দাম্পত্য জীবন ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে, তেমনই তাঁর সামাজিক ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে বলে ওই ১৪ জন ব্যক্তির কাছে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি টাকা করে দাবি করেছেন স্বামী। চিঠি পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে এই মোটা অঙ্কের টাকা না দিতে পারলে আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহিলার স্বামী তথা কলকাতার ওই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: বিরিয়ানির হাঁড়িতে জড়ানো লাল শালু, অন্য রঙের নয় কেন, জানুন কারণ
ওই ব্যক্তিদের উদ্দেশে চিঠিতে মহিলার স্বামী লিখেছেন, ”সম্প্রতি আমি জানতে পেরেছি, আপনারা প্রত্যেকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ ও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন এবং গোপনে আমার স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আপনারা সকলেই অবগত যে আমার স্ত্রী বিবাহিত। আপনাদের মধ্যে অনেকেই ওঁর স্বামী হিসেবে আমাকে চেনেন”। এরপরই আইনি নোটিসে লেখা হয়েছে, ”আপনাদের এই অবৈধ কার্যকলাপে আমাদের দাম্পত্য জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেই যন্ত্রণা আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে”।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন