নাগাড়ে বৃষ্টি পড়ে চলেছে। জল থৈ-থৈ কলকাতা। এর মধ্যেই শহরের সব লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হল। টানা বৃষ্টি ও পূর্ণিমার জেরে গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে। এসেছে জোয়ারও। ফলে শহরে যাতে গঙ্গার জল ঢুকতে না পারে তার জন্যই লকগেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানানো হয়।
এর জেরে কলকাতাবাসীর জমা জলের যন্ত্রণা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। কারণ, একদিকে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। বাড়ছে জমা জলের পরিমাণ। কিন্তু লকগেট বন্ধ থাকায় তা বেরিয়ে যেতে পারবে না। বিকেল ৩টে পর্যন্ত কলকাতার সব লকগেট বন্ধ থাকবে। তারপর শহরের জমা জল পাম্পের মাধ্যেম দ্রুত বের করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুরনিগম।
কলকাতা পুরনিগমের পুরপ্রশাসক তারক সিংয়ের কথায়, "টানা বৃষ্টি হবে বলেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। কলকাতায় একাধিক জায়গায় জল জমে রয়েছে। কিন্তু, লকগেট বন্ধ না করলে জোয়ারের জল শহরের ঢুকে যেতে পারে। ফলে আরও ভয়ঙ্কর অবস্থা হবে। তাই লকগেটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হল। তিনটের পর সেগুলি খোলা হবে। পাম্প দিয়ে বিকেল থেকে কলকাতার জমা দল বের করে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন- ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি, আবহাওয়ার বদল কবে?
রবিবার রাত ছেতে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র জল জমেছে। নাকাল মানুষ। উত্তর ও মধ্য কলকাতার শ্যামবাজার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, রামমন্দির, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, চাঁদনি, পার্ক স্ট্রিট কার্যত নদীতে পরিণত হয়েছে। জলের তলায় দক্ষিণের লেক গার্ডেন্স, বালিগঞ্জ, যোধপুর পার্ক, সার্দান অ্যাভিনিউ সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দফায় দফায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। সেই ঘূর্ণাবর্তটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে ঢুকবে। ঘূর্ণাবর্তটির প্রভাব ওড়িশার উত্তরে ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বেশি থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণাবর্তের জেরেই রাজ্যজুড়ে চলছে বৃষ্টি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন