প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরছে কলকাতার শম্পা মির্জা নগরের এবারের পুজোয়! একটা সময় পটচিত্রে বাংলার জুড়ি মেলা ছিল ভার। তবে সময়ের সঙ্গে হারিয়েছে সেই 'সৃষ্টি'। প্রাচীন সেই সৃষ্টিকেই বাঁচিয়ে তোলার অদম্য প্রয়াস কলকাতার শম্পা মির্জা নগর দুর্গোৎসব কমিটির। বাংলার হারিয়ে যাওয়া অসাধারণ সেই সৃষ্টিকেই নতুন রূপ দেওয়ার চেষ্টা। শম্পা মির্জা নগরের পুজোর থিমেও এবার নয়া চমক। নানা সাইজের বাক্স জোগাড় করছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। নানা রঙের ব্যবহারে সেই বাক্সের উপরেই আঁকা হচ্ছে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশের ছবি। দেবদেবীদের সঙ্গেই তাঁদের বাহনরাও বাদ যাচ্ছেন না। নিপুণ হাতে বাক্সের উপরেই সাজিয়ে তোলা হচ্ছে তাঁদের ছবি।
প্রাচীন বাংলার পট শিল্পকে নয়া রূপ দেওয়ার চেষ্টা শম্পামির্জা নগর দুর্গোৎসব কমিটির। তবে পট আঁকার জন্য কাপড় নয়, ব্যবহার করা হচ্ছে ফেলে দেওয়া কাগজের বাক্স। পাড়ার আট থেকে আশি সকলেই পালা করে আঁকছেন নানা ছবি। উদ্যোক্তাদের দাবি, আগে কাপড়ের উপর কাদা, আঠা ইত্যাদি লেপে শোকানোর পর প্রাকৃতিক রং দিয়ে পটচিত্র আঁকা হতো। পট কথার অর্থ হল কাপড়। বাংলার এই অসাধারণ শিল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।
কলকাতার শম্পা মির্জা নগর দুর্গোৎসব কমিটি সেই হারিয়ে যাওয়া চিত্র শিল্পই তুলে এনেছে তাঁদের পুজোর থিমে। তবে পট আঁকার জন্য কাপড় নয়, ব্যবহার করা হচ্ছে ফেলে দেওয়া কাগজের বাক্স। জিনিসপত্র নিয়ে নেওয়ার পর যে বাক্সগুলো আমরা ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলি সেগুলোই জোগাড় করছেন তাঁরা। বাড়ি-বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করা হচ্ছে নানা সাইজের বাক্স।
আরও পড়ুন- ‘বছরে চারবার জল ছাড়ছে, DVC-র কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নানা মাপের সেই বাক্সেই রং হাতে একের পর এক ছবি আঁকছেন পাড়ারই দিদি, বৌদি, কচিকাচার দল। এ তল্লাটের বাসিন্দাদের এখনও নাওয়া-খাওয়ার ফুরসত নেই। হাতের কাজে ফাঁক পেলেই পালা করে ছবি আঁকার কাজে তুমুল ব্যস্ততা। মণ্ডপের দশভুজাকে আহ্বান করতে পাড়ার দশভুজাদের এবং ঘরে ঘরে থাকা খুদে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক গণেশদের প্রচেষ্টা চোখে পড়ার মতো।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন