দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষ পর্যন্ত সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন কয়লা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। বিগত প্রায় চার মাসের বেশি সময় ধরে একাধিকবার সিবিআইয়ের তরফে লালাকে তলব করা হলেও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। তবে কয়েকদিন আগে সুপ্রিমকোর্টের রক্ষাকবচকে কাজে লাগিয়ে আজ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হয়েছেন ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালা। নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে লালাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচারকাণ্ডের শিকড় অনেক গভীরে। বেআইনি এই ব্যবসার সঙ্গে সরকারি সংস্থার কোন কর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের যোগ রয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খোঁজ করবে সিবিআই।
লালার বিরুদ্ধে খনি থেকে বেআইনি ভাবে কয়লা উত্তোলন করে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, এই কাজে তাঁকে সহায়তা করত সিআইএসএফ, রেল কর্মীদের একাংশ। এছাড়াও তাঁর এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের বেশকিছু‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি। তাঁদের কাছে ধুরপথে পৌঁছে যেত গরু পাচারের বেআইনি টাকা। এই মামলায় তৃণমূলের যুব নেতা তথা ডায়ম্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বিনয় মিশ্র ও তাঁর ভাই বিকাশের নাম উঠে এসেছে। বএরপর থেকেই ফেরায় বিনয়। তবে ইডি-র জালে ধরা পড়েছেন বিনয়ের বাই বিকাশ মিশ্র।
ইতিমধ্যেই লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। তাঁর সন্ধানে চলছিল তল্লাশি। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে কয়ালা পাচারকাণ্ডের জট ছাড়াতে চেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু এর মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত লালার বিরুদ্ধে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। আর সেই রক্ষকবচকে কাডে লাগিয়েই মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের হাজির হয়েছে লালা ওরফে অনুপ মাঝি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন