এ কোন দৃশ্য! এ যেন অচেনা কলকাতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পর ২১ দিনের লকডাউনের এমনই চিত্র দেখল রাজ্য। শুনশান রাস্তাঘাট, বন্ধ বাজার। অবাঞ্চিত কারণে রাস্তায় বেরলেই তেড়ে আসছে পুলিশ। যেন এ কার্ফুর চেয়েও বেশি। কারণ? করোনা। মারণভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশবাসীকে বন্দি করেই এমন আক্রমণ রুখতে চেয়েছে সকলে। যদিও এরই মধ্যে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকল ১০ জনে। দেশে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১৩।
এদিকে লকডাউনের দাপটে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সবজির দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দোকান খোলা থাকলেও সেখানে লম্বা লাইন। যদিও প্রশাসন এবং কেন্দ্রের তরফে জানান হয়েছে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন সিলিন্ডার, খাদ্য এবং শস্যর যোগানে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে বন্ধ রয়েছে রেল, বাস এবং বিমানের মতো সব পরিষেবাই। এমনকী রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় বন্ধ রইয়েছে সংবাদপত্রের সাপ্লাই।
আরও পড়ুন: লকডাউনের দ্বিতীয়দিনে দেশে বাড়ল মৃতের সংখ্যা
এদিকে সবজির দাম এমন আকাশছোঁয়া হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্তেরা। করোনার খবর দেশে আসতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছিল মাছ এবং পাঠার মাংসের দাম। এবার সবজির গায়েও এমন আগুন লাগায় হাত ঠেকাতেই ভয় পাচ্ছেন রাজ্যবাসী। সূত্রের খবর, পাইকারি বাজার থেকে খুচরো দোকানগুলিতে শাকসবজি এবং পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পুলিশ। পাইকারি বাজারে প্রচুর পরিমাণে পণ্য থাকলেও স্থানীয় বাজারে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বরং সূত্র জানিয়েছে পাইকারি ও খুচরো বাজারের মধ্যে যারা সংযোগ রাখে সেই মধ্যস্থতাকারীরা এই সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়েছে সবজির।
এরকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ পাওয়ার পর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দেন যেন শাকসবজি ও মুদি বিক্রেতাদের এবং খাদ্য বিতরণকারী ব্যক্তিদের চলাচল বন্ধ না করা হয়। তিনি প্রয়োজনীয় পরিষেবা বন্ধ করা হলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ বিক্রেতা সমিতির সভাপতি এবং কোলে মার্কেটের পাইকার কমল দে-এর মতে, পুলিশ বাংলার বা অন্যান্য রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে শাকসবজি নিয়ে আসা গাড়িগুলিকে পাইকারি বাজারে থামাতে দেয়নি। স্থানীয় বাজারে পণ্য পরিবহনের সময় লোকেরা এই ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছিল।
Read the full story in English