নিম্ন আদালতের রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর দিনভর নাটকের যবনিকা পড়ে ফিরহাদ, মদন, সুব্রত ও শোভনদের জেলযাত্রায়। কিন্তু শেষ বলে কিছু নেই, কথায় আছে। রায়েই অসুস্থ বোধ করতে থাকেন মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন দুজনে। আলাদা আলাদা কেবিনে রাখা হয়েছে তাঁদের। গতকাল হাইকোর্ট তাঁদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়, এই চারজনকেই প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভোর রাত পৌনে চারটে নাগাদ অসুস্থ বোধ করায় মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। কিন্তু সুব্রতবাবুকে কোনও পরীক্ষা না করিয়ে জেলে ফেরত পাঠানো হয়। মদন মিত্রের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও শ্বাসকষ্টের কারণে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হয়েছে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, সোমবার নিম্ন আদালতের রায়ে ধাক্কা খাওয়ার পর হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করে সিবিআই। এদিন আদালতে তারা জানায়, দিনভর যেভাবে নিজাম প্যালেসের সামনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয়েছে, তদন্তকারীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে তাতে এরাজ্যে তদন্ত চালানো অসম্ভব। অন্য রাজ্যে এই মামলার শুনানির আবেদন করে সিবিআই।
এদিন হাইকোর্ট সিবিআইয়ের আবেদন গ্রহণের পর নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয়। আগামী শুনানি হবে বুধবার। এদিকে, জামিনে স্থগিতাদেশ হওয়ায় জেলেই ঠাঁই হয় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।