gariahat double murder: প্রায় দুই সপ্তাহ পর গড়িয়াহাট-কান্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত ভিকি। মুম্বইয়ের এক বহুতল পার্কিং লট থেকে ভিকিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অপর অভিযুক্ত তথা ভিকির শাগরেদ শুভঙ্কর মন্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্রানজিট রিমান্ডে দু'জনকেই কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই এই গ্রেফতারি। এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর।
গড়িয়াহাট জোড়া হত্যাকাণ্ডে ধৃত মিঠুকে জেরায় গুরত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৪ জনকে সুপারি দিয়েছিল ভিকি হালদার। মা মিঠু জানতেন ছেলের এই পরিকল্পনা। সে বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ভিকি ও অন্যদের রক্তমাখা জামাকাপড় সংগ্রহ করে। আগে বালিগঞ্জ স্টেশন চত্বরে থাকার জন্য এলাকা নখদর্পণে ছিল মিঠুর। জোড়া খুনের পর ছেলে এবং তাঁর সঙ্গীদের পালাতে সে সাহায্য করে।
এদিকে, মিঠুকে জেরার পর পাথরপ্রতিমা থেকে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। যে চার জনকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে এই দুই জন সন্দেহভাজন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাকি বাকি দুই জনের খোঁজেও তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে সুপারি কিলারদের সঙ্গে মিঠুর কীভাবে যোগাযোগ হল? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। বাবাকে খুনের চক্রান্ত করে একপ্রস্ত জেল খেটেছে মা এবং দুই ছেলে। সেই সময় এই সুপারি কিলারদের সঙ্গে ভিকির সখ্যতা গড়ে ওঠে। এমনটাই ধারণা গোয়েন্দাদের। এমনকি, এর আগে সুবীরবাবুর বাড়ি কিনতে একাধিকবার নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করে ভিকি। সেই সময় অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলত সে। সেই কণ্ঠ আদৌ ভিকির না অন্য কেউ এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছে, জানতে চায় পুলিশ।
অপরদিকে, বুধবার রাতের দিকে মিঠুর ডায়মন্ড হারবারের বাড়ি গিয়ে সেই জামাকাপড় উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা। ভিকি এবং তাঁর সঙ্গীদের সেই পোশাক। এমনটাই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। এদিকে পুলিশ জানতে পেরেছে মিঠু এবং ভিকির পূর্বতন অপরাধের রেকর্ড আছে। ২০২০ সালে স্বামী অর্থাৎ ভিকির বাবাকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন মিঠু। সেই চেষ্টায় তাঁকে সঙ্গত দিয়েছিল দুই ছেলে।
যদিও পুলিশি জেরায় প্রথমে কিছুই বলতে চায়নি পেশায় পরিচারিকা এই মহিলা। কিন্তু কাকুলিয়া রোডের সিসিটিভি ফুটেজ এবং সেই ফুটেজে ভিকি ও তাঁর সঙ্গীদের গতিবিধি দেখেই ভেঙে পড়েন মহিলা। পুলিশকে তিনি জানান, ছ’মাস আগে কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে কাকুলিয়া রোডের সেই বাড়ি কিনতে সুবীর চাকিকে প্রস্তাব দেন মা-ছেলে। দেড় কোটি টাকা দর হাঁকলেও সেই লেনদেন দিনের আলো দেখেনি। এরপরেই লুঠের উদ্দেশে রবিবার নাম ভাঁড়িয়ে ফের সুবীর চাকিকে কাকুলিয়া রোডের বাড়িতে ডাকে ভিকি ও তাঁর দলবল। শুধু লুঠপাট চালানো উদ্দেশ্য থাকলেও, ভিকিকে এবার চিনে ফেলেন সুবীরবাবু। সেই সুত্রেই ছুরি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করেন অভিযুক্তরা। তাঁর গাড়ির চালক সেই দৃশ্য দেখে ফেললে, তাঁকেও খুন করে ভিকি ও তাঁর দলবল। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত মিঠু হালদার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন