আনলকের প্রথম দিনেই বড়সড় দুর্ঘটনা দেখল কলকাতা। প্রায় দেড় মাস পরে শহরে বাস নামলেও, সেই বাস দুর্ঘটনায় ফোর্ট উইলিয়াম এলাকায় মৃত্যু হল এক পুলিশকর্মীর। আহত ১৭ জন, তাঁদের এসএসকেএম চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, মেটিয়াব্রুজ-হাওড়া রুটের একটি মিনিবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারে। তাতেই এই দুর্ঘটনা। আহতরা প্রত্যেকেই ওই বাসের যাত্রী। ধাক্কার তীব্রতা এতটাই গভীর ছিল যে বাসের সিট দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে, ভেঙে গিয়েছে সামনের কাঁচ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের নীচ থেকে একটি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তির বাইক বলেই চিহ্নিত করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
সেই বাইকের সামনে পুলিশ লেখা দেখে প্রথমে পুলিশের সন্দেহ হয়। তারপর পরিচয় নিশ্চিত করেন তাঁর সহকর্মীরা। বাসের যাত্রীরা জানান, ‘গতিবেগ একটু বেশি থাকায় উল্টোদিক থেকে আসা বাইককে পাশ কাটাতে পারেননি চালক। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে নিয়েই গিয়ে ধাক্কা মারে ফোর্ট উইলিয়ামসের পাঁচিলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সেই বাইক আরোহীর। দুর্ভাগ্যবশত প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন যাত্রীরা।‘ তবে পুলিশ সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চালক নিজেও আহত হলেও সে পলাতক।
দুর্ঘটনার খবর চাউর হতেই উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনাবাহিনী এবং কলকাতা পুলিশ। নিয়ে আসা হয় অ্যাম্বুলেন্স ও ক্রেন। সেই ক্রেন ব্যবহার করেই বাসটিকে ফোর্ট উইলিয়ামসের পাঁচিল থেকে বের করে সরানো হয়েছে। নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই বাইক। একটুও সময় অপচয় না করে অ্যাম্বুলেন্সে আহতদের পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এমনটাই লালবাজার সূত্রে খবর।
যদিও পুলিশের একটা সুত্র বলছে, বাসের নীচে আটকে ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। ক্রেন দিয়ে বাস সরিয়ে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে ওই পুলিশকর্মীর। এই দুর্ঘটনার জেরে অনেকক্ষণ যানজট তৈরি হয় হেস্টিংস থেকে ধর্মতলামুখী রাস্তায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। এসএসকেএম হাসপাতালে যান ডিসি ট্র্যাফিক অরিজিৎ সিনহা। আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তিনিও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন