রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কড়া অবস্থান নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফল ঘোষণার পর ৪৮ ঘণ্টায় একাধিক জায়গায় অশান্তির খবর এসেছে। রাজনৈতিক সংঘর্ষে তৃণমূল-বিজেপি এবং আইএসএফের অন্তত ১২ কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় শপথ গ্রহণের একদিন আগে সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেইসঙ্গে এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি এবং কলকাতার সিপিকে নিজের বাসভবনে ডেকে পাঠালেন তিনি।
জানা গিয়েছে, আধিকারিকদের সঙ্গে বিকেলেই বৈঠকে বসেছেন মমতা। উল্লেখ্য, সোমবারই তিনি সাংবাদিক বৈঠকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “রাজ্যবাসীকে আমি আবেদন জানাব, শান্তি বজায় রাখুন। অশান্তিতে জড়িয়ে পড়বেন না। কোনও সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। ওঁরা ব্যবস্থা নেবে। পুলিশকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।” বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্র সচিব এইচ কে দ্বিবেদী, ডিজিপি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ডেকে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
সূত্রের খবর, তিনি পুলিশকে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন। তিনি বুধবার শপথগ্রহণ করবেন, তারপরেই কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপালকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার ট্যুইট করে এই খবর দেন জগদীপ ধনখড়। রবিবার বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বেশ কিছু হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিজেপির ছয় জন সেই হিংসার বলি। এমন অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি একাধিক পার্টি অফিস ও বিরোধী দলের কর্মীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠছে রবিবার সন্ধ্যা থেকে। এবার সে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী খোঁজ নিলেন রাজ্যপালের কাছ থেকে।
ধনখড় টুইটে লিখেছেন, ‘রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে ফোনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমিও উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া’।