যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরেছেন বাংলার ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা। বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের জন্য ঢালাও সুযোগ-সুবিধার কথা এদিন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে নির্বিঘ্নে, কোনও সমস্যা ছাড়াই সম্পূর্ণ হয় সেই আশ্বাস দিয়েছেন। মমতা এদিন সাফ জানিয়ে দেন, “পড়ুয়াদের কোনও সমস্যা হলে রাজ্য সরকার দেখে নেবে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন যদি আপত্তি করে আমি তোমাদের নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করব। তোমাদের কোনও বছর নষ্ট হবে না। আমার উপর ভরসা রাখো। ধৈর্য রেখো, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়বে না।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী যা যা বললেন দেখে নিন একনজরে-
- ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের এখানে পড়ার ব্যবস্থা হবে।
- চতুর্থ বর্ষের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হবে।
- রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ইন্টার্নশিপ করতে পারবে।
- তাঁদের জন্য স্টাইপেন্ডের ব্যবস্থা করা হবে।
- চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ষের জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে চিঠি লেখা হবে। ইন্টার্নশিপের অনুমতির জন্য চিঠি দেওয়া হবে।
- প্রথম বর্ষে কেউ ভর্তি হতে চাইলে বিশেষ ব্যবস্থা করা হতে পারে।
- দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের জন্য মেডিক্যাল কমিশনের অনুমতি নেওয়া হবে।
- মেডিক্যাল কমিশন অনুমতি দিলে বেসরকারি কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা হতে পারে।
- রাজ্য সরকার যে রেট পায় সেই রেটেই ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। পড়ুয়াদের কোনও বাড়তি টাকা দিতে হবে না।
- রাজ্য সরকার স্কলারশিপ হিসাবে অর্ধেক টাকা দেবে।
- বাকি টাকা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলি দেবে
- কয়েকজন ইউক্রেনে গিয়ে কাজ হারিয়েছেন, তাঁদেরও এখানে কাজের ব্যবস্থা করা হবে।
বেশ কিছু মেডিক্যাল পড়ুয়া এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তাঁরা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিমানে দেশে নিয়ে এলেও সেভাবে কিছুই ব্যবস্থা করেনি। বরং রাজ্য সরকার তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দিল্লি-মুম্বই থেকে বিমানের খরচ দিয়ে কলকাতা এনেছে, রাজ্যের প্রতিনিধি পি বি সেলিম সব রকম ব্যবস্থা করেছেন। থাকা-খাওয়া, গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সব কিছু। এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেই সম্ভব হয়েছে বলে পড়ুয়ারা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।