CM Mamata: বুধবার ইউনেসকোর ঘোষণার পরেই ট্যুইট করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহ এবং বিজেপি নেতাদের জন্য দু’মিনিট নীরবতা পালন করতে বলেছিলেন তিনি। কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেসকো স্বীকৃতি দেওয়ায় বিজেপির মুখে চুনকালি পড়েছে। এবার এভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরভোটের প্রচারে বৃহস্পতিবার বাঘাযতীনে সভা করেন তিনি। সেই সভা থেকেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলা বিশ্ববাংলা হয়ে গিয়েছে। ইউনেসকো বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ সম্মান দিয়েছে। আর কেউ কেউ বাংলায় এসে বলত মমতাজি বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেয় না। ওদের মুখে চুনকালি পড়ে গিয়েছে।‘
এই মন্তব্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কথা বলার সময় আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, নিশ্চয় আপনাদেরও দিচ্ছে। আমি এমনি এমনি ক্লাবগুলোকে টাকা দিই না। আমি ২০১৬ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম, এর জন্যই কার্নিভালটা মাথা থেকে বের করি। আমি গর্বিত, বিকশিত, সঞ্জীবিত। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই। বাংলাকে আমি বিশ্বসেরা করব। এর জন্য যেখানে যেতে হয় যাব।‘
রাজ্যজুড়ে নীল-সাদা রঙ প্রসঙ্গেও তিনি এদিন সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন নীল-সাদা রঙ করি, ব্যাঙ্গ করা হয়েছিল রাজ্যকে আর্জেন্টিনা বানাবে। কিন্তু এখন দিল্লি, মুম্বই, কর্নাটকে এই নীল-সাদা রঙ হচ্ছে। আমি এই রঙ বেছেছিলাম কারণ এটা দলীয় রঙ নয়। আকাশের রঙ। আকাশের কোনও সীমা নেই। এখন কলকাতাকে দেখে অনেকের হিংসা হয়।‘
এদিকে, কলকাতা পুরভোটের আগে হাত মাত্র একদিন। শুক্রবার বিকেল ৫টের পর বিধি মেনে ভোট প্রচারে নিষেধাজ্ঞা। তাই শেষবেলায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর কলকাতায় প্রচারে ঝড় তুলছেন তৃণমূল সুপ্রিমো এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়বাজারে রোড শো করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন এবং দক্ষিণ শহরতলির বেহালা চৌরাস্তায় জনসভা করেন তিনি। প্রথম জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতা পুরসভায় যা কাজ হয়েছে, গোটা ভারতে হয়নি। বাংলার কারও সার্টিফিকেট দরকার নেই। বাংলা জানে কীভাবে কাজ করতে হয়। কেন্দ্র জলকর বসাতে চাপ দিয়েছিল। দেশের প্রায় সব রাজ্যে জলকর নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলা কারও উপর জলকর বসাবে না। ২০২৪-এর মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া হবে।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন