এ যেন ঠিক করোনায় প্রাণ কাড়া নয়, কিন্তু মৃত্যুর নেপথ্যে যেন রয়েছে সেই করোনাই। রাজ্যে যেখানে বাধ্যতামূলক হয়েছে মাস্ক পরা সেখানে বাইরে বেরনোর সময় ছেলের মাস্ক পরায় অসম্মতি মেনে নিতে পারেনি ৭৮ বছরের বৃদ্ধ। ক্রোধের বশে শ্বাসরোধ করেই খুন করে ৪৫ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলেকে।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর কলকাতায়। পুলিশ জানিয়েছে, বংশীধর মল্লিক এবং ছেলে শীর্ষেন্দু মল্লিকের মধ্যে অনেক দিন ধরেই ঝামেলা লেগেছিল। শনিবার শীর্ষেন্দুকে খুনের পরই স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে বংশীধর মল্লিক। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক বলেন, "তখন প্রায় ৭টা যখন শ্যামপুকুর থানায় আসে বংশীধর মল্লিক। ছেলে শীর্ষেন্দুকে ৫.৩০ নাগাদ খুন করে সেই সংবাদও দেন। ছেলে প্রতিবন্ধী ছিল। মুখে কাপড় গুঁজেই ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বংশীধর।"
এই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যায় শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। সেখান থেকে ছেলে শীর্ষেন্দুর দেহও উদ্ধার করে তারা। জানা গিয়েছে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত বংশীধর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। ছেলে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু বাবা-ছেলের যে সম্পর্ক থাকা উচিত, সেই সম্পর্ক ছিল না বংশীধর-শীর্ষেন্দুর, জানিয়েছে পুলিশ। অফিসার বলেন, "কিছুদিন যাবৎ বাড়ির বাইরে মাস্ক পরে বেরনো নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। শনিবার সেই ঝামেলা চরমে পৌঁছয়। ফলস্বরূপ এই খুন।" উল্লেখ্য, ১২ মার্চ বাড়ির বাইরে মাস্ক পরে বেরতে হবে এই নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য প্রশাসন।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন