ফের উত্তেজনা সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে এবার হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। সপ্তাহ দুয়েক ধরেই এই হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত না করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। হাসপাতাল সূত্রে এদিন খবর সোমবার সকালে চিকিত্সা করাতে এসে ফিরে যেতে হয় বহু রোগীকে। এরপরই উত্তেজিত জনতা ইট ছোড়ে সাগর দত্ত হাসপাতালের গেটে লাগোয়া তৃণমূলের দলীয় অফিসে।
তাঁদের দাবি, শুধু করোনা নয়, সাধারাণ মানুষের অন্য চিকিত্সাও করতে হবে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে সাগর দত্ত হাসপাতালে ডাক্তার মোস্তাফি আহমেদ বলেন, "অন্যান্য চিকিত্সা না হলে বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ব্যরাকপুর শিল্পাঞ্চলে শুধুমাত্র একটি হাসপাতাল। সমস্ত মানুষ এখানে আসেন। সেখানে ওপিডি বন্ধ করে কোভিড হাসপাতাল তৈরি করলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে? আমরা এমএসভিপি র সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা করি। কিন্তু তেমন কোনো ইতিবাচক সমাধান সূত্র বের হয়নি। জোর করায় আপাতত মা ও শিশু বিভাগের আউটডোর খালো রয়েছে"। এদিনের বিক্ষোভকারীরা জানান, কোনো অসুখ হলে আর জি কর যেতে হবে। গাড়ি নেই, রোগীকে নিয়ে যাব কেমন করে? যদিও বা যেতে পারি সেখানে আদৌ চিকিত্সা পাব কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
হাসপাতালের সামনে বিটি রোড অবরোধ করে বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে র্যাফ নামানো হয়।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকেই এম এস ভি পি-র ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিত্সকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু এর পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের কথাও ভাবতে হবে। এ বিষয়ে সুপারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, 'উপর থেকে হয়ে গিয়েছে, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’ স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তার সঙ্গে ৭ মিনিটের একটি ভিডিও কনফারেন্সে ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা হয় এবং সেখানে কোন সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি বলে জানা যাচ্ছে।