প্রধানমন্ত্রী জনতা কার্ফু ঘোষণার পর থেকেই বাজারমুখী হয় আমজনতা। লকডাউনের সিদ্ধান্ত তাতে ঘৃতাহুতি দেয়। সাধারণ মানুষ হামলে পড়ে খাদ্য়দ্রব্য় মজুত করতে শুরু করে। জিনিসপত্রের মূল্য়বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই সুযোগে কালোবাজারীও শুরু হয়ে গিয়েছে। মহানগরে কালোবাজারী রুখতে বৃহস্পতিবার বাজারে অভিযান চালায় কলকাতা পুরসভা। পথে নামেন মেয়র খোদ ফিরহাদ হাকিম।
করোনা মোকাবিলায় সারা দেশেই লকডাইন চলছে। নিত্য় প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান খোলা রয়েছে। জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। লকডাউনের ফলে কলকরখানা, হকারি, কাজকর্ম সব কিছুই বন্ধ। মানুষ ঘরবন্দি। এই অবস্থায় নিত্য় প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য় নিয়ন্ত্রণে না থাকলে নতুন করে সংকট দেখা দেবে।
বৃহস্পতিবার খিদিরপুর বাজার পরিদর্শন করেনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। করোনা পরিস্থিতিতে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণ করাই এখন চ্য়ালেঞ্জ কলকাতা পুরসভার কাছে। এদিন খুচরো ব্য়বসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র। ব্য়বসায়ীরা নিত্য় প্রয়োজনীয় পণ্য়ের যোগানের সমস্য়ার কথা জানান মেয়রকে। তাঁদের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন মেয়র। এদিন ফিরহাদ হাকিম ব্য়বসায়ীদের কালোবাজারী বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি জানিয়ে দেন, কালোবাজারী বরদাস্ত করা হবে না। মেয়র বলেন, "দ্রব্যমূল্যের দাম ইচ্ছা মতো বাড়ানো যাবে না। সেক্ষেত্রে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।"
লকাডউনের নির্দেশ জারি হওয়ার পর কলকাতা সহ রাজ্য়ের নানা জায়গায় সাধারণ ক্রেতারা ভিড় জমায় মুদিখানার দোকানে। চাল, ডাল, ডিম সহ অন্য় খাদ্য়সামগ্রী কেনার হিরিক পড়ে যায়। অস্বাভাবিক চাহিদা বাড়তেই শুরু হয়ে কালোবাজারী। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সারা রাজ্য়েই খাদ্য় দ্রব্য়ের মূল্য় নিয়ন্ত্রণে সক্ষম না হলে লকডাউনের আগামী দিনে কালোবাজারী চরমে পৌঁছে যাবে।