আয় বাড়াতে রকমারি পরিকল্পনা নিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল। বুধবার থেকে চালু শহরে চালু হয়েছে নতুন ডিজাইনের কো ব্র্যান্ডেড টোকেন। মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পার্ক স্ট্রিট স্টেশনে এর উদ্বোধন করেছেন। এই কো ব্র্যান্ডেড টোকেনের জন্য মেট্রোর আয় বহুগুণ বাড়বে। পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর বুকিং কাউন্টারে এই টোকেন মিলবে। শীঘ্রই জোকা-তারাতলা করিডরেও পাওয়া যাবে এই টোকেন।
বর্তমানে কলকাতা মেট্রো প্রতিদিন পাঁচ লক্ষেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করে। পূর্ব-পশ্চিম করিডরে ১০ কিলোমিটারের পর থেকে সর্বোচ্চ ভাড়া ৩০ টাকা। আর, উত্তর-দক্ষিণ করিডরে ২০ কিলোমিটারের ওপরে সর্বোচ্চ ভাড়া ২৫ টাকা। ব্যবহারকারীরা তাঁদের স্মার্ট কার্ড ১০০, ২০০, ৩০০, ৫০০ এবং ১,০০০ টাকায় রিচার্জ করাতে পারেন। সর্বোচ্চ ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত স্মার্ট কার্ডের ব্যালেন্স থাকতে পারে। স্মার্ট কার্ডে একজন যাত্রীর ন্যূনতম ২৫ টাকা ব্যালেন্স রাখতেই হয়।
আয় বাড়াতে বেশ কিছুদিন ধরেই বিজ্ঞাপনে জোর দিয়েছে কলকাতা মেট্রো। ট্রেনের পাশাপাশি স্টেশনেও বিজ্ঞাপন, স্টলের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন মেট্রোকর্তারা। মেট্রো স্টেশনের নামের ফলকের পাশে পর্যন্ত স্পনসরের কায়দায় বিজ্ঞাপন বসেছে। ট্রেনের হাতলে বসেছে বিজ্ঞাপন।
মেট্রোর নিয়ম অনুযায়ী, একটি টোকেন যাতায়াতের জন্য একবারই ব্যবহার করা যায়। টোকেন কেনার পর যাত্রীকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে স্টেশনে প্রবেশ করতে হবে। না-হলে, সেই টোকেন কাজ করবে না। যাত্রা শেষের পর বেরনোর গেটে টোকেন মেশিন ক্যাপচার করে। যাত্রী সেই টোকেন দিতে ব্যর্থ হলে ৫০ টাকা জরিমানা দিতে হয়। আর, ২৫০ টাকা চার্জ করা হয় যাত্রীকে। প্রথমবারের জন্য স্মার্ট কার্ড কিনতে হলে যাত্রীকে জমা দিতে হয় ১০০, ২০০, ৩০০, ৫০০, ১,০০০ টাকা। স্মার্ট কার্ডের নিরাপত্তাবাবদ জমা থাকে ৬০ টাকা।
আরও পড়ুন- মোদী ম্যাজিকে অতীতের সব রেকর্ড ভাঙার ইঙ্গিত, হিমাচলে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই
মেট্রোয় ট্রেনের মধ্যে আগে থেকেই বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দিষ্ট জায়গা ছিল। সেখানে নিয়মিত বিজ্ঞাপন তো আছেই। স্টেশনের থামগুলোকে বিজ্ঞাপনের কাছে লাগানো হচ্ছে। এর সঙ্গে, স্টেশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পথে যেটুকু জায়গায় মেট্রোর জমি আছে, সেখানেও বড় বড় হোর্ডিংয়ে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করছেন মেট্রো কর্তারা।