রবিবার রাতে কলকাতার মোমিনপুরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের সোমবার রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে ছিল। তবে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষ আর হয়নি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এখন পুরোপুরো নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় চলছে পুলিশের রুট মার্চ। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে বসেছে পুলিশ পিকেট। বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। পরিচয়পত্র খতিয়ে এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে পুলিশ। একবালপুর থানা এলাকায় তিনদিনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
Advertisment
তবে যেখানে যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছিল তার পুরোটাই কলকাতা পুলিশের আওতায় পড়ে না। ডায়মন্ড হারবার রোডের পূর্বদিকের অঞ্চল, ভূকৈলাস রোডের পশ্চিম দিক, একবালপুর লেনের উত্তর অংশ এবং ব্রাউনফিল্ড রোডের দক্ষিণ দিকে বুধবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। পাঁচ জন বা তার বেশি সংখ্যক লোকের জটলা দেখলেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করা হবে।
এদিকে, মোমিনপুরের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চরমে। রবিবার রাত থেকেই বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব নেমে পড়ে ময়দানে। অশান্তির এলাকায় যেতে গিয়ে চিংড়িহাটায় গ্রেফতার হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পরই কলকাতার রাজপথে আন্দোলনের মাত্রা বাড়ায় বিজেপি। গেরুয়া শিবির লালবাজার অভিযানে নামে। এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে অশান্তি থামানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লেখেন।
এর পর রাজ্যভবনে যান শুভেন্দু এবং বিজেপি বিধায়করা। লালবাজারে গিয়ে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে মোমিনপুর কাণ্ডে নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগ করেন। বিকেলে সিইএসসি অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান, কেন মোমিনপুরে গন্ডগোলের সময় রবিবার বিকেল থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং করে এলাকা অন্ধকার করে রাখা হয়। শেষে সন্ধেবেলায় একবালপুরে সিএমআরই হাসপাতালে গিয়ে আহত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু।