Advertisment

ছেলেকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে, ছাদ থেকে উদ্ধার কঙ্কাল

নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ করেন মৃতের বাবা৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছেলেকে খুনের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে৷ সল্টলেকে বাড়ি ছাদ থেকে উদ্ধার হল কঙ্কাল৷ ছেলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। তার পরই নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ করেন মৃতের বাবা৷ তারই ভিত্তিতে তদন্তে নেমে কঙ্কালের হদিশ পায় পুলিশ৷ এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ অভিযুক্ত মহিলা এবং তার ছোট ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুরু হয়েছে জেরা৷

Advertisment

জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ব্যবসায়ী অনিল কুমার মহেনসারিয়া এবং তার স্ত্রী গীতা সল্টলেক সেক্টর ২-এর এজে- ২২৬ ঠিকানায় থাকতেন৷ তাঁদের তিনটি সন্তান ছিল৷ কিন্তু পারিবারিক বিবাদের জেরে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাস থেকে অনিল রাজারহাটের একটি আবাসনে একাই থাকতেন৷ দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে থাকতেন গীতা৷

ব্যবসায়ী অনিল মহেনসারিয়ার অভিযোগ, গত ২৯ অক্টোবর তিনি জানতে পারেন, তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে রাঁচিতে নিজের বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছেন গীতা৷ কিন্তু নভেম্বর মাসে তিনি জানতে পারেন, ছোট ছেলে বিদুর এবং মেয়ে বৈদেহী সেখানে থাকলেও বড় ছেলে অর্জুন রাঁচিতে নেই৷ অথচ ফোনে তাঁর স্ত্রী তাঁকে জানান যে অর্জুনও সেখানেই রয়েছে৷

বেশ কিছুদিন ধরে চেষ্টা করেও বড় ছেলে অর্জুনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি অনিল৷ তাঁর কোনও খোঁজও পাননি ওই ব্যবসায়ী৷ এর পরেই বৃহস্পতিবার বিধাননগর পূর্ব থানায় অর্জুনের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন অনিল৷ তিনি পুলিশের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে হয়তো অর্জুনকে অপহরণ করে খুন করে ফেলেছে তাঁর মা গীতা৷

এই অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই সল্টলেকের এজে ২২৬ নম্বর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ৷ তল্লাশিতে বাড়ির ছাদ থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার হয়৷ ওই কঙ্কালটি মহেনসারিয়া দম্পতীর নিখোঁজ বড় ছেলে অর্জুনের বলেই অনুমান তদন্তকারীদের৷ নিখোঁজ অর্জুনের মা গীতা এবং তার আর এক ছেলে বিদুইকে গ্রেফতার করে জেরা চালাচ্ছে পুলিশ৷

তবে, প্রতিবেশীরা কেন মানব দেহের পচা গন্ধ পাননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি অর্জুনেরই কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করছে পুলিশ৷ এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Murder
Advertisment