বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের জন্য স্বস্তির খবর। রেল প্রতারণা মামলায় মুকুলের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
-->
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বেহালার সরশুনা থানায় মুকুল রায়ের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মুকুল ও আরও ৪ জনের নামে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রেল বোর্ডের সদস্য করার নামে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন ওই বাসিন্দা। এ বছরের গোড়াতেই অভিযোগ দায়ের করেন ওই বাসিন্দা। সেই মামলায় মুকুলের গ্রেফতারিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হল। অন্যদিকে, জানুয়ারি মাসে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কেন কোনও পদক্ষেপ করেনি, সে নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলে আদালত।
আরও পড়ুন: ‘আগে ৭ কর, তারপর ১০৭ করিস’, মুকুলকে পরোক্ষ আক্রমণ মমতার
উল্লেখ্য, এই প্রতারণার মামলায় কয়েকদিন আগেই বিজেপির মজদুর সংগঠনের নেতা বাবান ঘোষকে সরশুনা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁর পাটুলির বাড়ি থেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, রেলের কমিটির সদস্য করে দেবে বলে বাবান প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে। বাবানের গ্রেফতারির পরই এ মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল। বাবানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেছিলেন, “এমন ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন তো করতেই হবে। মমতার সঙ্গে লড়াইয়ে আইন দিয়েই বেঁচে থাকতে হবে”। মুকুল আরও বলেছিলেন, “অহেতুক আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ২৮টা মামলা করে ৩৪ থেকে ২২-এ নেমেছে তৃণমূল। এবার বিধানসভায় ২০টা আসনও পাবে না। পরিস্কার যে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে’’।