/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/02/Mukul-Kailash-LEAD.jpg)
অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।
বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা ঘিরে ধুন্ধুমার বাধল কলকাতায়। টালিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। আটক করা হল কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক নেতা-কর্মীকে। সিএএ-র সমর্থনে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের নেতৃত্বে এদিন মিছিল শুরুর আগেই পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। মোট ৪৫০ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি বিজেপির।
Kolkata: Police detains BJP national general secretary Kailash Vijayvargiya at the start point of BJP's rally in Tollygunge Phari supporting the Citizenship Amendment Act. pic.twitter.com/NVEU9f1TCp
— ANI (@ANI) February 7, 2020
লালবাজারে আনা হল মুকুল-কৈলাশকে, দেখুন ছবি
টালিগঞ্জ থানার সামনে ভিড় জমিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এ ঘটনার জেরে এলাকায় কার্যত স্তব্ধ যান চলাচল।
এদিন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘সিএএ-র সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। এখানে সিএএ-র বিরোধিতায় মিছিল করা যায়। অথচ সিএএ-র সমর্থনে মিছিল করা যায় না। মমতার রাজ্যে এটাই কী গণতন্ত্র!’’ এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন,‘‘বিপজ্জনক পরিস্থিতি, রাজ্যজুড়ে কোনও গণতন্ত্র নেই। জানি না কী পরিস্থিতি চলছে’’।
আরও পড়ুন: মুকুলেই ভরসা রাখছেন মমতা
উল্লেখ্য, এর আগেও সিএএ-র সমর্থনে কলকাতায় বিজেপির মিছিলে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। কয়েকদিন আগে পাটুলিতে দিলীপ ঘোষের অভিনন্দন যাত্রা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওই মিছিলে সিএএ-এনআরসির বিরুদ্ধে একলা প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন এক তরুণী। পরে তরুণীর হাত থেকে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার কেড়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপর ওই তরুণী সম্পর্কে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ওর চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য ভাল শুধু পোস্টার কেড়ে নেওয়া হয়েছে’’। দিলীপের এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক বাধে বঙ্গ রাজনীতিতে। এর আগেও একাধিকবার কলকাতায় বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা ঘিরে অশান্ত হয়েছে কলকাতার রাজপথ। কিছুদিন আগে বিজেপিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘ওটা অভিনন্দন নয়, বিজেপির বিসর্জন যাত্রা’’।