Advertisment

বুদ্ধদেবের শ্যালিকা ইরা বসুর পেনশন-গ্র্যাচুইটির ব্যবস্থা করল নবান্ন

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় সুরাহা পেলেন প্রাক্তন শিক্ষিকা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু ডানলপের ফুটপাতে দুবছর ধরে ভবঘুরের জীবন কাটাচ্ছিলেন।

কয়েকদিন আগেই তিনি খবরের শিরোনামে আসেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরা বসু ডানলপের ফুটপাতে দুবছর ধরে ভবঘুরের জীবন কাটাচ্ছিলেন। প্রাক্তন শিক্ষিকার এই দশায় শোরগোল পড়ে যায়। শেষপর্যন্ত তাঁর সরকারি পেনশনের ব্যবস্থা করল রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অর্থ দফতর তাঁর পেনশন ও বকেয়া গ্র্যাচুইটির টাকা দ্রুত প্রদান করবে। এতদিনের বকেয়া পেনশনের টাকাও তিনি পাবেন।

Advertisment

বছরখানেক ধরেই ডানলপের ফুটপাথে এক শীর্ণকায় বৃদ্ধার উপস্থিতি চোখে পড়েছে স্থানীয়দের। কতই তো এমন থাকে! এই ভেবে অনেকেই সর্বহারা সেই বৃদ্ধাকে পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছে। সাদা উসকো চুল, পরনে জীর্ণ রাতের পোশাক। সেই অবস্থায় ডানলপ পেট্রোল পাম্প এলাকায় ঘুরতেন তিনি। অন্যদের মতো চেয়ে নয়, বরং টাকা দিয়েই চা এবং খাবার খেতেন তিনি। কেউ এগিয়ে এসে অর্থ কিংবা খাবার দিলে কিছুটা রাগান্বিত ভাবেই এড়িয়ে যেতেন। পথচলতি মানুষদের বলতেন কিছু চাই না। আমার ব্যাঙ্কে টাকা আছে।

খবর নিয়ে জানা যায় শীর্ণ এই বৃদ্ধা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা। রহড়া প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞানের প্রাক্তন শিক্ষিকা ইরা বসু। ভাইরোলজিতে পিএইচডি, ইংরাজি এবং বাংলা, দুই ভাষাতেই সমান দখল ইরা দেবীর। এখানেই শেষ নয়, রাজ্য ক্রীড়ায় বিশেষ করে টেবিল টেনিসে বিশেষ সুনাম ছিল এই বৃদ্ধার। হইচই পড়ে যায় এলাকায়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম মারফৎ খবর যায় খড়দহ পুরসভায়।

জানা যায়, ২০০৯ সালে রহড়ার স্কুল থেকে অবসর নেন ইরাদেবী। প্রিয়নাথ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণকলি চন্দ বলেন, ‘শুনেছি উনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়। একটা সময় আমাদের স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গেই থাকতেন। অবসরের পর পিএফ-এর টাকা পেলেও পেনশন আটকে রয়েছে নথির জন্য। কিছু কাগজ তাঁকে জমা দিতে বলা হলেও এখনও জোগাড় করে উঠতে পারেননি।‘

আরও পড়ুন ২ বছর ফুটপাথই ঘরবাড়ি! বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকার বর্তমান ঠাঁই মানসিক হাসপাতাল

এরপরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের তরফে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয় ইরা বসুর। লোক পাঠিয়ে ইরাদেবীকে পেনশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন অভিষেক। এরপর মঙ্গলবার রাজ্য অর্থ দফতর পেনশন এবং গ্র্যাচুইটির টাকা ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, আপাতত মাসে প্রায় ১৪ হাজার টাকার মতো পেনশন পাবেন ইরাদেবী। ২০০৯ সালের ১ মে থেকেই পেনশন কার্যকর হবে তাঁর। ১২ বছরের বকেয়া পেনশনের পাশাপাশি গ্র্যাচুইটির টাকাও পাবেন। তাঁর নমিনি করা হয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মেয়ে সুচেতনাকে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

abhishek banerjee Nabanna Buddhadeb Bhattacharya Ira Basu
Advertisment