নারদ মামলা অন্যত্র স্থানান্তর নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ফের শুরু হয়েছে শুনানি। সোমবারও এই শুনানি হয়েছিল। প্রায় দু’ঘণ্টা চলেছে বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি। এদিন যান্ত্রিক গোলযোগে আবদেনকারী আইনজীবী যে নথি আদালতে পেশ করেন, তা পৌঁছয়নি অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কাছে। তার পরই শুনানি স্থগিত করা হয়। এদিন প্রায় ৪ ঘণ্টা চলে শুনানি। বুধবার ফের সাড়ে ১১ টায় বৃহত্তর বেঞ্চ শুনবে মামলা।
এদিন শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব এবং গ্রেফতারির দিন নিজাম প্যালেসের সামনে চলা প্রতিবাদ প্রসঙ্গ তোলেন সিবিআই আইনজীবী তুষার মেহেতা। সেই প্রসঙ্গে বেঞ্চের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের সংবিধানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখানোর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এটা কীভাবে বিচার প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলেছে বলুন?’
একই সুর শোনা গিয়েছে বৃহত্তর বেঞ্চের অন্য বিচারপতি সৌমেন সেনের গলাতে। তিনি বলেছেন, ‘সেদিন শুনানি হয়েছে ভার্চুয়ালি। চার্জশিট জমা হয়েছে ভার্চুয়ালি। আইনমন্ত্রী আদালতের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন, এতে সমস্যা কোথায়?’
১৭ মে নারদ-কাণ্ডে ৪ নেতা-মন্ত্রীর গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না এবং বাইরে জনতার বিক্ষোভ। এই ঘটনাগুলিকে হাতিয়ার করেই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর সওয়াল করেছে সিবিআই। যার জন্য এই মামলায় রাজ্যকেও পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে বলা যায়, এই মামলায় প্রভাবশালী তত্ত্ব প্রমাণ করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই আইনজীবী এদিন শুনানিতে কলকাতার প্রাক্তন সিপি রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অভিযানের প্রসঙ্গ তুলেছেন। সেদিনও ওই আইপিএসের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন শুনানিতে উল্লেখ করেছেন মেহেতা।