চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের লেভেল ক্রসিং দিয়ে শুরু হল গাড়ি চলাচল

রাত ১২টার পরে চিৎপুর লক গেট ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রাত ১২টার পরে চিৎপুর লক গেট ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টালা সেতুর বিকল্প চিৎপুর রেল ইয়ার্ডের লেভেল ক্রসিং দিয়ে শুরু হল গাড়ি চলাচল। দক্ষিণ কলকাতাগামী বাস, লরি-সহ বিভিন্ন গাড়িকে বাগবাজারের দিক থেকে প্রাণনাথ মুখার্জি রোড হয়ে লেভেল ক্রসিং পার করে কাশীপুর রোডের দিকে পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে, বিটি রোড থেকে দক্ষিণ কলকাতাগামী গাড়িকে ধরতে হবে লক গেট।

Advertisment

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে সমস্ত বাসকে চিৎপুর ব্রিজের মুখে থেকেই বাম দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নতুন রাস্তা ধরে বাস লেভেল ক্রসিং পার করে কাশীপুর রোড ধরছে। পণ্যবাহী লরির কথা উল্লেখ থাকলেও, এখনও লরিকে যেতে দেওয়া হয়নি ওই রাস্তায়। কারণ রাস্তার বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে।

এতদিন, লক গেট ব্রিজ ধরার আগে বিরাট ট্রাফিক জ্যামের ঝক্কি পোহানো রোজকার সমস্যা হয়ে উঠেছিল নিত্যযাত্রীদের। অফিস টাইমে রাজ বল্লভ পাড়া থেকে লক গেট ব্রিজের মুখ পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগছিল পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট। টালা ব্রিজ দিয়ে যে সমস্ত গাড়ি যাতায়াত করত তারা শ্যামবাজারের পর রাজবল্লভ পাড়া, বাগবাজার মোর হয়ে সোজা উঠছিল লক গেট ব্রিজে। এখন তা আর হবে না। লকগেট ব্রিজে ওঠার আগেই বাম দিকে প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোড ধরতে হবে। তবে যে সমস্ত গাড়ি চিৎপুর ব্রিজ থেকে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছে, তাদেরকে দীর্ঘ সিগন্যাল আটকাতে হচ্ছে। যার ফলে বিপুল জ্যাম পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে নিত্য যাত্রীদের।

Advertisment

মনে করা হচ্ছে, রাস্তা চালু হয়ে যাওয়ায় চিৎপুর লকগেট সেতুর উপর চাপ কমবে। বিকল্প পথের কারণে উত্তরের সঙ্গে মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার যাতায়াত মসৃণ হবে। কিন্তু, প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোডের মুখে নতুন সিগন্যাল সিস্টেম তৈরি করতে হবে। কাজেই, অফিস টাইমে রাজ বল্লভ পাড়া থেকে লক গেট ব্রিজ ধরতে যে জ্যামের সৃষ্টি হত, তার হাত থেকে মুক্তি কতটা পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

এক পুলিশ কর্তার কথায়, "বুধবার গাড়ির চাপ বাড়বে। সে দিনই বোঝা যাবে, নতুন এই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হয়েছে।’’ জানা যাচ্ছে, রাত ১২টার পরে চিৎপুর লক গেট ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে সময় চিড়িয়ামোড় থেকে খগেন মুখার্জি রোড ধরে লেভেল ক্রসিংয়ের নতুন রাস্তা দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চলাচল করবে। ইতিমধ্যে, ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক ট্র্যাফিক পুলিশ।