এটাই কি সেই শিয়ালদা! মনে হবে এমনটাই। লকডাউনের মাঝেই বদল হয়েছে শিয়ালদা স্টেশনের প্লাটফর্মের নম্বর। এবার প্লাটফর্ম চত্বরের রূপের আমূল বদল ঘটছে। লকডাউনেই নতুন ভাবে সাজছে শতাব্দী প্রাচীন এই রেল স্টেশন। ম্যারম্যারে থেকে ঝাঁ চকচকে ও আকর্ষণীয় রূপ দিতে জোরকদমে চলছে কাজ। গড়ে উঠছে ফ্যামিলি শপিং মলও। করোনা আবহে থার্মাল চেকিং-য়ের জন্য স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তো রয়েছেই।
শিয়ালদা স্টেশনে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করে। একাধিক লোকাল ও মেইল-এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়মিত আসে-যায়। এখন সপ্তাহে দুটি স্পেশাল এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। এছাড়া, রেলের কর্মীদের জন্য রয়েছে স্পেশাল লোকাল ট্রেন। তবে লকডাউনে শিয়ালদা প্লাটফর্ম চত্বর এক রকম যাত্রী শূন্য বলাই যায়। এই সময়টাকেই কাজে লাগাচ্ছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ। গ্রানাইট ফ্লোরিং থেকে ফলস সিলিং, লাইটিং, অসাধারণ আঁকা ছবি সহ নানা উপকরণে সেজে উঠছে এই স্টেশন। জানা গিয়েছে, এক নম্বর প্লাটফর্মের দিকে টিকিট কাউন্টার ও প্রবেশ পথও বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। তবে আগের শিয়ালদা প্লাটফর্ম আর সেজে ওঠার পরের চিত্র দেখলে যে কেউ অবাক হতে বাধ্য।
শিয়ালদা স্টেশনের মেইন গেট থেকে ঢুকলেই গ্রানাইট ফ্লোরিং। তাছাড়া ফলস সিলিং, লাইটিং সহ নানা ধরনের কাজ চলছে। আগে যে বাফারগুলির দিকে তাকালে ভক্তি চটে যেত, এখন সেদিকে অবাক হয়ে দেখতে হবে। বাফারগুলি রেলিং দিয়ে ঘেরা হয়েছে। সেখানেও আঁকা রয়েছে মুগ্ধ করা রঙবেরঙের ছবি। দেওয়ালেও সব অসাধারণ ছবির আঁকিবুঁকি। এখনও কিছু বাকি রয়েছে। শিয়ালদার স্টেশন ম্যানেজার বিজয় সিং বলেন, "প্লাটফর্ম চত্বর ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। গ্রানাইট ফ্লোরিং থেকে অসাধারণ পেইন্টিং রাখা হয়েছে নানা জায়গায়। ফ্যামিলি শপিং মলও হচ্ছে। বাইরে ঝুলন্ত বাগান তো ছিলই। এবার ভিতরে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্ম সংলগ্ন বাগান আরও সাজানো হয়েছে।" ভ্রমণের সঙ্গে মনমেজাজও সতেজ হয়ে যাবে শিয়ালদা স্টেশনের এই নয়া রূপ দেখলে।
লকডাউনে শিয়ালদা থেকে দুটি স্পেশাল মেইল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। একটা ট্রেন নিয়মিত যাচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। অন্যটি সপ্তাহে দুদিন যাচ্ছে ভূবনেশ্বর। স্টেশন ম্যানেজার বলেন, "রাত ১১টায় নিয়মিত ছাড়ছে এনজিপি স্পেশাল, ভূবনেশ্বর যাচ্ছে সপ্তাহে দুদিন। ভাল ভিড় হচ্ছে নিউ জলপাইগুড়ির ট্রেনে। কিন্তু ভূবনেশ্বরে যাওয়ার যাত্রী কম হওয়ায় সপ্তাহে তিন দিনের পরিবর্তে এখন দুদিন করা হয়েছে। যাত্রীদের স্বয়ংক্রিয় থার্মাল স্ক্যানারে চেকিং হচ্ছে। এই যন্ত্রে একসঙ্গে ৫ জনকে চেকিং করা সম্ভব।" তবে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল করলে তা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন স্টেশন ম্যানেজার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন